'সিঙ্গল মাদার' হিসাবে বড় করেছেন মেয়ে মাসাবা গুপ্তাকে (বাবা ক্রিকেটার ভিভিয়ান রিচার্ডস)। মাসাবা পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। কিন্তু প্রথম জীবনে মাকে দেখে মাসাবারও ইচ্ছে হয়েছিল অভিনয় করার। কিন্তু নীনা নিজেই মেয়েকে বাধা দিয়েছিলেন। স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, মাসাবার যেমন চেহারা, লুক— তাতে বলিউডে কাজ পাওয়া সম্ভব নয়।
নীনার ভাষায়, ‘‘আমি মাসাবাকে বলেছিলাম, অভিনয় করতে চাইলে তুমি বিদেশ যাও। কারণ তোমার ফিচার বা চেহারা যেমন, তাতে ভারতে খুব কম চরিত্র পাবে। তুমি যদি ভাল অভিনয়ও কর, নায়িকা হওয়া সম্ভব নয়া! কোনওদিনই হেমা মালিনী বা আলিয়া ভাট হতে পারবে না ।’’
advertisement
একা হাতে মাসাবাকে বড় করা নিয়ে নীনা বলেন, '' প্রচলিত 'ফ্যামিলি' বলতে যা বোঝায়, তা আমি কোনওদিনই মাসাবাকে দিতে পারিনি। কখনও কখনও সেজন্য আমার নিজেকে অপরাধী মনে হয়। সেসময় অনেক বন্ধুই বলেছিল একটা শিশুর জন্য এটা ঠিক নয়। তখন আমারও ভীষণ মন খারাপ লাগত, একাকীত্বে ভুগতাম। মনে হত আরও একটা সন্তান থাকলে হয়ত ভাল হত। একটা শিশুকে এতটাও একা হতে হত না। তবে পরিস্থিতি সেরকম ছিল না।''
তবে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও আফসোস নেই নীনার। বর্তমান প্রজন্মর উদ্দেশ্যে নীনার পরামর্শ, ''এধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া, সিঙ্গল মাদার হিসাবে সন্তানকে বড় করা খুবই কঠিন। এপথে না হাঁটাই ভালো। কারণ এধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে এদেশে মেয়েরা সংখ্যালঘু। বিশেষ করে শিশুর ক্ষেত্রে জীবনটা খুব কঠিন হয়ে যায়।''