প্রায় তিন সপ্তাহ হতে চলল জেলেই রয়েছেন আরিয়ান খান। এদিনের শুনানিতে আরিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করে এনসিবি। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক মাদকচক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে আরিয়ানের। শুধু মাদক সেবনই নয়, আরিয়ান মাদকের কারবারও করে। তারকা পুত্র জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করা এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে নষ্ট হতে পারে। তদন্তকেও প্রবাভিত করতে সক্ষম আরিয়ান ও তাঁর পরিবার। এমনকী শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানির বিরুদ্ধেও সাক্ষীকে প্রভাবিত করার অভিযোগ এনেছে এনসিবি।
advertisement
আরও পড়ুন: জামিন পাবেন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান? বম্বে হাইকোর্টে সওয়াল করবেন প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল রোহাতগি!
আরিয়ানের হয়ে মুকুল রোহতগি আদালতে বলেন, 'আরিয়ান মাদকের ক্রেতা নন। সেই ক্রুজে তাঁকে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। পার্টি শুরু হওয়ার আগেই তাঁদের আটক করা হয়। আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও ড্রাগ পাওয়া যায়নি। তার পরেও আরিয়ানকে গ্রেফতার করা হয় এবং বয়ান নেওয়া হয়। আরবাজের জুতো থেকে ছয় গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে তার জন্য আরিয়ানকে দায়ী করা সঠিক নয়। পাশাপাশি এফআইআর শিটে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার কোনও উল্লেখই নেই অথচ আটক করার পরই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে আরিয়ানের। এখনও পর্যন্ত আরিয়ানের কোনও মেডিক্যাল পরীক্ষাও হয়নি যেখানে প্রমাণ হয় আরিয়ান ড্রাগ নেন।' আরিয়ানকে অপরাধী নয়, একজন ড্রাগ শিকার হিসেবে দেখা হোক বলে আদালতের কাছে আবেদন করেন রোহতগি।
আরও পড়ুন: আরিয়ানের সঙ্গে সেলফি তুলে ভাইরাল হন! জীবনের ঝুঁকির আশঙ্কা আছে বলে দাবি গোসাভির
নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) গত ৩ অক্টোবর মুম্বই উপকূল থেকে এক প্রমোদ তরী থেকে মাদক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনায় এই তিন সহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল। আরিয়ান সহ ধৃত তিনজন আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। আরিয়ান ও মার্চেন্টকে আর্থার রোড জেলে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, ধমেচা বাইকুল্লার মহিলা জেলে বন্দি।