তবে ফিরে আসা যাক বর্তমান সময়ে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘শয়তান’। ‘ক্যুইন’ পরিচালক বিকাশ বেহেলই এই ছবি পরিচালনা করেছেন। মূলত এটি ২০২৩ সালে কৃষ্ণদেব ইয়াগনিকের তৈরি গুজরাতি ছবি ‘বশ’-এর রিমেক এটি। তবে আসল গুজরাতি ছবিটির নির্যাস পুরোপুরি ভাবে ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন পরিচালক বিকাশ বেহেল। এই কাজটি ‘ফানি গেমস’ ছবির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। তবে ‘শয়তান’ ছবিতে নিজের চরিত্রটি দুর্ধর্ষ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেতা আর মাধবন। তাঁর অভিনীত বনরাজ চরিত্রটি সম্মোহনের ক্ষমতা ব্যবহার করে ছোট ছোট মেয়েদের একটি গুহায় নিয়ে যায়।
advertisement
এদিকে গল্প এগোতে থাকে একটি সুখী পরিবারকে ঘিরে। ওই পরিবারটিতে রয়েছেন কবীর (অজয় দেবগন), তাঁর স্ত্রী জ্যোতি (জ্যোতিকা), তাঁদের কন্যা জাহ্নবী (জানকী বোড়িওয়ালা) এবং পুত্র ধ্রুব (অঙ্গদ রাজ)। সুখী পরিবারটি রাস্তার একটি ধাবায় থাকাকালীন তাঁদের উপর নজর পড়ে বনরাজের। এরপর ওই পরিবারটি একটি জনশূন্য নির্জন স্থানে গ্র্যান্ড হলিডে ভিলায় পৌঁছয়। সেই সময় তাঁদের পিছু নেয় বনরাজ। এদিকে সেই রাতে শুরু হয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি। বনরাজের নজর যায় জাহ্নবীর দিকে। মেয়েটির চোখে চোখ রেখে আশ্চর্যজনক ভাবে তাকে শয়তানরূপী বনরাজ মোহিত করে। এরপর অদ্ভুত ভাবে বনরাজের অঙ্গুলিহেলনে চালিত হতে থাকে মেয়েটি।
এরপর ধ্রুবকে মেরে ফেলার জন্য জাহ্নবীকে নির্দেশ দেয় বনরাজ। এরপর ছুরি নিয়ে ধ্রুবকে আঘাত করতে গেলে যেন শুরু হয় টানটান নাটকীয়তা। তবে এর বেশি হয়তো আর এগোনো উচিত হবে না। কারণ সেটা নিশ্চিত ভাবে স্পয়লার দেওয়া হয়ে যাবে!
শয়তান ছবি জুড়ে শুধুই মাধবন! বলা ভাল, এটা মাধবনেরই ছবি! বরাবরই মাধবনকে চকোলেট হিরো কিংবা লাভার বয়ের ইমেজে দেখা গিয়েছে। তবে এই ছবির জন্য নিজের সেই চকোলেট বয় ইমেজ সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। আর এর জন্য প্রচুর কাজ করতে হয়েছে অভিনেতাকে। এই ছবিতে তাঁকে দেখলে গায়ে কাঁটা দেবেই দেবে। এমনকী তাঁর গলার স্বরও মনে ভয় ধরাবে। আর সবথেকে বড় কথা হল, তাঁর চরিত্রে সম্পূর্ণ ভিন্ন দু’টি রূপ প্রতিফলিত হয়েছে। যা তিনি অনায়াসে সাবলীল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
অন্যদিকে আবার অজয় দেবগন এক ভাল বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যিনি নিজের মেয়েকে শয়তানের কবল থেকে বাঁচানোর জন্য রীতিমতো জান লড়িয়ে দিয়েছেন। আবার মায়ের চরিত্রে জ্যোতিকাও নিখুঁত। শয়তান বনরাজের অঙ্গুলিহেলনে চালিত হচ্ছে নিজের সন্তান, এটা অসহায় ভাবে দেখছেন মা। সব মিলিয়ে ছবিটি দেখলে শিরদাঁড়া দিয়ে হিমশীতল স্রোত বয়ে যাবে। যদিও এহেন ছবির পিছনে বোধহয় কোনও যুক্তিই কাজ করে না। সম্মোহনী শক্তি কি সত্যিই এতটা শক্তিশালী? সেটাই এখন ভাবাচ্ছে ভক্তদের।