বরাবর গান মোহিতের হাতিয়ার। এই ছবিতেও আদিত্য় রায় কাপুর ও দিশা পাটানির লভ স্টোরি সাজানো ছিল বেশ কিছু ভাল সুরে। কিন্তু কোথায় যেন তাল কাটল। ছবিতে আদিত্যর চরিত্রের নাম অদভাইদ। আর দিশার নাম সারা। দু’জনের দেখা গোয়ায়। তবে এই গোয়া ‘দিল চহতা হ্যায়’-এর মতো নয়। দারুণ ল্যান্ডস্কেপের পাশাপাশি কঠিন বাস্তব। ড্রাগস, ক্রাইমের শহর গোয়া। মোহিতের ছবির মূল বক্তব্য়।
advertisement
অদভাইদ-সারা একেবারে ফ্রি স্পিরিটেড দু’জন। যাঁরা অ্যাডভেঞ্চার ভালবাসেন। ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’-র ফিল রয়েছে। তবে ধারে কাছেও মলঙ্গ নয়। ছবিতে দুই কপ অনিল কপুর ও কুণাল খেমু। অনিল থুড়ি আগাসে নিয়ম ভাঙেন। অন্যজন মাইকেল মানে কুণাল নিয়ম অনুযায়ী চলেন।
এসব ছপিয়ে মলঙ্গ থেকে প্রাপ্তি আদিত্যর সিক্স প্যাক এবং দিশার টোনড বডি। সিনেমেটোগ্রাফারকে যেন বিশেষ করে ইনস্ট্রাকশন দিয়েছিলেন মোহিত। যাতে, অন্য কিছু হোক না হোক ওঁদের শরীর যেন ফ্রেম জুড়ে থাকে। কারণ, ছবির মধ্য়ে তো বিশেষ কিছু নেই।
মাইকেলের চরিত্রে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার মতো উপাদান রয়েছে। কুণাল চেষ্টাও করেছেন। তবে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য অনিল কাপুর। রাফ অ্যান্ড টাফ অবতারে বেদনা ফুঁটিয়ে তুলেছেন। অনিল কাপুরের জন্যই ছবিটা একবার হলেও দেখা যায়।
দিশার বদলে আপনার পাশের বাড়ির সুশ্রী টুম্পা হলেও বিশেষ সমস্যা হত না। বড়ই দুর্বল চিত্রনাট্য়। গতিহীন প্রথম হাফ। সেকেন্ড হাফ মন্দের ভাল।ছবি দেখে মনে হতে পারে, এখনও যেন থ্রিলার বানানো শিখতে হবে মোহিতকে। তাই, দারুণ কিছু আশা করে ‘মলঙ্গ’ দেখতে গেলে হতাশ হবেন।