গত ৯ অগস্ট ‘করিনা কপূর খানস প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ প্রকাশিত হয়েছে । সেই বই প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই করিনার গর্ভকালীন অবস্থা নিয়ে অনেক অজানা তথ্যই সামনে এসেছে । সেই বই থেকেই জানা গিয়েছে, বড় ছেলে তৈমুরের জন্মের পর তাকে স্তন্যপান করাতে পারেননি করিনা । টানা ১৪ দিন, অর্থাৎ দু’সপ্তাহ পর্যন্ত এই অবস্থা চলেছিল । তাই জেহ-র জন্মের পর তাকে ব্রেস্ট ফিডিং করাতে পারাটা করিনার কাছে ছিল একটা সাফল্য । জেহ-র সময় কোনও সমস্যা হয়নি তাঁর ।
advertisement
তবে অন্যদিকে আবার, জেহ গর্ভে থাকাকালীন অনেক বেশি শারীরিক সমস্যা হয়েছিল বেবোর । তিনি ঠিক মতো বসতে পারতেন না, কোথাও বসলে সেখান থেকে উঠতে পারতেন না । শরীরে সমসময় একটা অস্বস্তি করত ।
তৈমুরের সময় সি-সেকশন করতে হয়েছিল করিনাকে । তার কারণ গর্ভে তৈমুর ঠিক মতো নড়াচড়া করছিল না । ফলে তড়িঘড়ি সিজার করতে হয় তাঁকে । এরপর সমস্যা দেখা দেয় স্তন্যপানে । সিজার হওয়ার কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল । তৈমুর জন্মের ১৪ দিন পর্যন্ত স্বাভাবিক উপায়ে স্তন্যদুগ্ধ উৎপাদনের চেষ্টা করেছিলেন করিনার মা ববিতা ও স্বস্থ্যকর্মীরা । কিন্তু দু’সপ্তাহ পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি । পরে অবশ্য সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যায় । নিজের বইয়ে করিনা লিখেছেন, ‘হঠাৎই সিজার করতে হয় তৈমুরের বেলায় । আমি ওকে ব্রেস্ট ফিড করাতে পারিনি । দুধ উৎপন্ন হচ্ছিল না । ১৪ দিন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ড্রাই ছিলাম আমি । মা আর নার্স অনেক চেষ্টা করতেন । কিন্তু ১৪ দিন পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি । জেহ-র সময় অনেক ভাল ফ্লো রয়েছে আমার ।’’
সম্প্রতি পরিচালক করণ জোহরের সঙ্গে একটি লাইভ সাক্ষাৎকারে করিনা স্বীকার করেন, দ্বিতীয়বারের প্রেগন্যান্সি তাঁর কাছে কঠিন ছিল । তৈমুরের সময় বিষয়টা যেন খোলা হাওয়ার মতো ছিল । সে কারণেই দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন করিনা । কিন্তু জেহ-র সময় বিষয়টা কঠিন হয়ে দাঁড়ায় । অনেক বেশি সমস্যাপূর্ণ ছিল এই গ্রেগন্যান্সি । তবে বেবো’র মতে এটাও এক ধরনের মজা ।