রনধীর বলেছিলেন যে, মেয়েদের পড়াশোনার খরচ, ইলেকট্রিসিটি বিল, স্ত্রীর খরচ, এবং তার নিজের খরচের জন্য তিনি সত্যি পরিশ্রম করেছেন। তাঁর কথায়, "এখন যদি আমার বয়স কম হতো খুব ভালো হতো। এখনকার অভিনেতারা কত টাকা অর্জন করেন। আমরা টাকা আয় করার জন্য বহু পরিশ্রম করতাম। বাচ্চাদের পড়াশোনার খরচ, ইলেকট্রিসিটি বিল, ববিতার খরচ, আমার স্কচ এর খরচ, সব আমার আয় করা টাকা থেকেই দিতে হতো।
advertisement
রণধীর কাপুর আরও বলছেন, "এখন তারকারা অনেক বেশি বেছে বেছে কাজ করেন। তাঁরা বছরে মাত্র একটা ছবি করেন। কারণ এখন তারা এনডোর্সমেন্ট অথবা বিভিন্ন ইভেন্ট থেকে টাকা আয় করেন। আমরা কখনও বছরে একটা ছবি করতেই পারিনি। আমরা কাজ না করলে বাড়ির খরচ এবং বিল দেওয়ার টাকাও ঘরে থাকতো না।"
১৯৭০ এ বহু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রণধীর কাপুর। এরপরে ববিতার সঙ্গে প্রেম এবং ১৯৭১-এ বিয়ে করেন তাঁরা। দুই কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তারকা দম্পতি। কিন্তু ১৯৮৮ সালে বিচ্ছেদের রাস্তা বেছে নেন দুজন। কেন বিচ্ছেদ হয়েছিল সেই নিয়েও মুখ খুলে ছিলেন অভিনেতা।
তিনি বলেছিলেন, "ববিতা বুঝতে পেরেছিল আমি একজন সাংঘাতিক মানুষ। যে প্রচন্ড মদ্যপান করে, বাড়িতে দেরি করে ফেরে। এগুলি ববিতা পছন্দ করত না। আর ববিতা যেমন চাইতো আমি সেভাবে জীবন যাপন করতে রাজি হইনি। ও আমাকে গ্রহণ করতে পারেনি যদিও আমাদের প্রেম করে তারপর বিয়ে হয়েছিল। তবে আমাদের দুজনের দুই সন্তান রয়েছে দেখাশোনা করার। ও খুব ভালো করে ওদের বড় করেছে। ওরাও নিজেদের কেরিয়ারের নাম করেছে। একজন বাবা হিসেবে আমি আর কী চাইতে পারি।" বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও, দুজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন করিনা ও করিশমা কাপুর।