ট্যুইটারে শেষশয্যায় দিলীপ কুমারের মাথার পাশে বসে থাকার ছবি শেয়ার করেছেন ধর্মেন্দ্র। কান্নায় ভেঙে পরা ধর্মেন্দ্রর ছবিই বলে দিয়েছে তাঁর মনের অবস্থা। ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, 'সায়রা যখন বলল, ধরম দেখো সাহাবের চোখের পলক পড়ল, বন্ধুরা আমার প্রাণ বেরিয়ে গিয়েছিল। মালিক আমার প্রিয় ভাইকে জন্নত দিন।' এরই সঙ্গে আরেকটি ট্যুইটে ধর্মেন্দ্র লিখেছেন, 'বন্ধুরা, আমি দেখাতে পারি না। আমার আবেগকে ধরে রাখতে পারি না। নিজের মনে করে যা বলার বলে ফেলি।'
advertisement
সকালেই দিলীপ কুমারের মৃত্যুর খবর পেয়ে আরেকটি ট্যুইট করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেখানে দিলীপ কুমারের সঙ্গে নিজের একটি আদুরে ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। ক্যাপশনে ধর্মেন্দ্র লিখেছিলেন, 'ইন্ডাস্ট্রিতে আমার দাদাকে হারিয়ে খুবই শোকাহত। দিলীপ সাহাব যেন জন্নতে যেতে পারেন।' পরে ৮৫ বছরের অভিনেতা শেষবার গিয়ে দেখে এসেছেন দিলীপ কুমারকে। ধর্মেন্দ্র বাংলা ছবি 'পাড়ি'-তে দিলীপ কুমারের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন। সেটি ছিল হিন্দি ছবি 'আনোখা মিলন'-এর রিমেক।
কিংবদন্তি তারকা দিলীপ কুমারের আসল নাম মহম্মদ ইউসুফ খান। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত, বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পেশোয়ারে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। বাবা লালা গোলাম সারওয়ার, মা আয়েশা বেগম। বাবা ছিলেন ফল ব্যবসায়ী। ১৯৩০ সালে পরিবার নিয়ে মুম্বইয়ে চলে আসেন তাঁরা। কর্মজীবনের শুরুতে দিলীপ কুমার ছিলেন ক্যান্টিন মালিক, পাশাপাশি শুকনো ফল সরবরাহকারী। ১৯৪৪ সালে 'জোয়ার ভাটা' ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ। ১৯৪৭ ও ১৯৪৮ সালে যথাক্রমে 'জুগনু' ও 'শহিদ' সিনেমা বাণিজ্যসফল হওয়ার পর আর পিছন ফিরে তাকাননি। ১৯৭৬ পর্যন্ত চুটিয়ে অভিনয় করেন। কয়েক বছর বিরতির পর আবার পুরোদমে। ১৯৯৮ সালে তাঁর শেষ ছবি 'কিলা'।