দিলীপ কুমারের সেই ট্যুইটার প্রোফাইল খুললে এখনও একটি পিনড ট্যুইট চোখে পড়বে সকলের। যেখানে গোলাপি শার্ট পরে বসে রয়েছেন দিলীপ কুমার। ক্যাপশনে েলখা রয়েছে, 'চিরকালের পছন্দের পিঙ্ক শার্ট'। অর্থাৎ, গোলাপি রঙের শার্টের প্রতি অভিনেতার চিরটানের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে ট্যুইটে। বহু অনুষ্ঠানে, উৎসবে, ছবিতে পিঙ্ক রঙের শার্ট পরে দেখা গিয়েছে দিলীপ কুমারকে। এই রঙের প্রতি আলাদা ভালোবাসা ও টান অনুভব করতেন তিনি। তাই মন খুশি থাকলে গোলাপি রঙের শার্টই পরতেন অভিনেতা।
advertisement
তাঁর ট্যুইটারে ঢুঁ মারলেই চোখে পড়ে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের আরেকটি ছবি। সেখানে ফুলের বাগানে স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে দাঁড়িয়ে রয়েছেন দিলীপ কুমার। সেখানেও গোলাপি রঙের শার্ট পরে রয়েছেন তিনি। ক্যাপশনে সায়রা বানু লিখেছেন, 'পিঙ্ক, প্রিয় শার্ট। ঈশ্বরের আমাের উপর কৃপা।' শব-এ-বরাতের দিনও প্রতি বছর এই পিঙ্ক রঙের শার্টই পরতেন দিলীপ কুমার। এমনকী পিঙ্ক রঙের প্রতি দিলীপ কুমারের এমন ভালোবাসা দেখে, হাসপাতালে তাঁর জন্য গোলাপি তোয়ালে নিয়ে গিয়েছিলেন সায়রা বানু। এই রঙ দেখলে দিলীপ কুমার খুশি হতেন।
কিংবদন্তি তারকা দিলীপ কুমারের আসল নাম মহম্মদ ইউসুফ খান। তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত, বর্তমান পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত পেশোয়ারে একটি সম্ভ্রান্ত পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর। বাবা লালা গোলাম সারওয়ার, মা আয়েশা বেগম। বাবা ছিলেন ফল ব্যবসায়ী। ১৯৩০ সালে পরিবার নিয়ে মুম্বইয়ে চলে আসেন তাঁরা। কর্মজীবনের শুরুতে দিলীপ কুমার ছিলেন ক্যান্টিন মালিক, পাশাপাশি শুকনো ফল সরবরাহকারী। ১৯৪৪ সালে 'জোয়ার ভাটা' ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ। ১৯৪৭ ও ১৯৪৮ সালে যথাক্রমে 'জুগনু' ও 'শহিদ' সিনেমা বাণিজ্যসফল হওয়ার পর আর পিছন ফিরে তাকাননি। ১৯৭৬ পর্যন্ত চুটিয়ে অভিনয় করেন। কয়েক বছর বিরতির পর আবার পুরোদমে। ১৯৯৮ সালে তাঁর শেষ ছবি 'কিলা'।