বিগ বস সিজন ১৪-র অন্যতম জনপ্রিয় প্রতিযোগী রাহুল। খেলায় সকলের মন জিতলেও বিগ বসের ঘরে সকলের মতো তাঁকে নিয়েও একাধিক জল্পনা তৈরি হয়। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথাও হতে থাকে। তারই মাঝে ১১ নভেম্বর দিশার জন্মদিনের দিন তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন গায়ক। বিগ বসের ঘরে বসেই নিজের টি-শার্টে দিশাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে লেখেন, উইল ইউ ম্যারি মি? যা দেখে রীতিমতো চমকে যান সকলে। প্রোপোজের এই অভিনব ও মিষ্টি ব্যাপারটি সকলের মন ছুঁয়ে নেয়। আর তার পর থেকেই দিশার উত্তরের অপেক্ষায় ছিলেন তিনি। দিশা অবশ্য এই ব্যাপারে কারও সামনে কখনও মুখ খোলেননি। কিন্তু এই ঘটনার কিছুদিন পর একটি ট্যুইট (Tweet) করে দিশা জানান, তিনি তাঁর উত্তর রাহুলকে জানিয়ে দিয়েছেন। তবে, উত্তরটা ঠিক কী, সে নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।
advertisement
এদিকে, বিগ বস-এর শেষ কয়েকটি পর্বে নিজেদের সব চেয়ে কাছের মানুষজনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান প্রতিযোগীরা। সেখানে সবার আগে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন রাহুল। আর সেখানে মা'র উদ্দেশে একটি গান গেয়ে শোনান তিনি। পরে মা'কে প্রশ্ন করেন, আমি বিয়ে কবে করতে পারব? সেখানেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়।
রাহুলের মা গীতা বৈদ্য জানান, তাঁর ছেলের বিয়ের প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি রাহুলকে দিশার তরফ থেকে একটি মেসেজও জানিয়ে দেন। বলেন, দিশা রাহুলকে খুব মিস করছেন। এর পরই ছেলেকে 'শের' বলে আখ্যা দেন তিনি। এবং জানান, রাহুল দারুণ খেলছেন। তাঁর ও অ্যালির সম্পর্ক গীতাদেবীর ভালো লাগে বলেও জানা যায় বক্তব্যে।
এর কিছু দিন আগেও অবশ্য গীতাদেবী ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন, রাহুল এবং দিশার মধ্যে সবকিছু ভালোই চলছে। মা হিসেবে তিনি খুশি। সেই ট্যুইটেও তিনি তাঁদের বিয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করেন। জানান, আমার মনে হয় বিয়েতে দিশা ৯০ শতাংশ রাজি। ফলে আমরা বিয়ের প্ল্যানিং শুরু করে দিয়েছি। তবে, প্রস্তুতি নিয়ে সে দিন তিনি কিছু জানাননি। শুধু বলেছিলেন, দিশার পরিবারের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে কোনও কথা এখনও হয়নি, তাই বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে এখনও কিছু ভাবা হয়নি।
প্রসঙ্গত, দিশাকে নিয়ে প্রথম থেকেই খুশি রাহুলের মা। তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন, আমার মনে হয়, ও খুবই ভালো মেয়ে। গত বছর ও কয়েকবার এসেছে আমাদের বাড়িতে। আমি ওদের সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জানতাম না। ভেবেছিলাম ওরা দু'জনে বন্ধু। সেই সময়ে যদি দিশা আমাকে ব্যাপারটা বলত, তা হলে আমি গিয়ে ওর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতাম!