সাক্ষাৎকারে সুনীতা বলেছেন, 'অতিমারিকালেও কাজ করেছি আমি। সেই সময় নিজের সমস্ত সঞ্চয় কাজে লাগিয়েছি। দুর্ভাগ্যবশত, সেই সময় আমাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হল। কিডনি সংক্রমণ ও পায়ে ব্যথার জন্য। পরে ফের পায়ে আঘাতের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হই। এর পরেও আমার একবার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে। শরীরে আরও সমস্যাও রয়েছে।'
তবে এমন চরম সংকটের সময় সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন সুনীতার পাশে দাঁড়িয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, 'অভিনেত্রী নুপূর অলঙ্কারের বাড়িতে আমি পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতাম। কিন্তু আমি তিন মাস ভাড়া দিতে পারিনি। আমার কাছে কোনও টাকাই ছিল না আর। আমি CINTAA-র কাছে কৃতজ্ঞ আমাকে নুপূরের বাড়িতে পাঠানোর জন্য। ও আমার অসুখের সময় একজন নার্সও ঠিক করেছিল। আমি ফের কাজ শুরু করতে চাই উপার্জনের জন্য। কিন্তু আমার পায়ের অবস্থা এতটাই খারাপ যে কী ভাবে কাজ করব বুঝতে পারছি না। আমার আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন যতদিন না কাজ পাচ্ছি।'
advertisement
এরই সঙ্গে সুনীতা জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর স্বামী একটি কাজ শুরু করেছিলেন কয়েক বছর আগে। কিন্তু গুদামে আগুন লেগে গিয়ে সমস্ত কিছু পুড়ে যায়। এর পর ২০০৩ সালে স্বামী মারা যান তাঁর। অভিনেত্রীর কথায়, 'এভাবে বেঁচে থাকা অসম্ভব। আমার খুব আক্ষেপ হয়, আমার কোনও বাড়িও নেই।' বজরঙ্গি ছাড়াও 'শাপিত', 'দ্য লেজেন্ড অফ ভগত সিং', 'মেড ইন চায়না'-তে কাজ করেছেন সুনীতা।