ইতিমধ্যেই ১০হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Bollywood)৷ করোনা প্রথম ঢেউ থেকেই ধাক্কা খাচ্ছে এই শিল্প৷ ১ বছরের থেকে বেশি সিনেমা হল রয়েছে বন্ধ৷ মাঝে কিছু সময় খুললেও তাতে লাভের লাভ কিছুই হয়নি৷ পুনরায় সিনেমা হল খুললেও তাতে ৫০ শতাংশ ছাড় মিলেছে৷ যার জেরে ব্যবসায় কোনও ভাবেই লক্ষ্মি লাভ হচ্ছে না৷
advertisement
তবে এত কিছুর ঝুঁকি নিয়েও নিজের ছবি বেল বটমের মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অক্ষয়৷ কারণ তিনি বিশ্বাস করেন যে এগিয়ে না এসে উপায় নেই৷ একে একে হলে ছবি মুক্তি না হলে কোনও ভাবেই এই জট ছাড়বে না৷ ফলে সাহস নিয়েই হলে ছবি মুক্তির পথে হাঁটলেন খিলাড়ি৷ তিনি মনে করেছিলেন যে বেল বটম ছবি মুক্তির আগে মুম্বইয়ে হল খোলার অনুমতি মিলবে৷ তবে তা হয়নি৷ সে কারণে গুজরাতের সুরাতে ছবির বিশেষ প্রদর্শন করেন তিনি৷ বিশেষ এই শোয়ের জন্য সাংবাদিকদের উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় চার্টারে৷
গত বছর অক্ষয়ের ছবি লক্ষ্মি মুক্তি পায় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে৷ একেবারে সাড়া জাগায়নি সেই ছবি৷ একই অবস্থা হয় সলমনের রাধের ক্ষেত্রেও৷ অন্যদিকে গত বছর মার্চ মাস থেকে আটকে রয়েছে অক্ষয়ের ছবি সূর্যবংশির মুক্তি৷ যেহেতু ছবিতে অক্ষয় ছাড়াও রয়েছেন অন্যান্য বড় স্টার (অজয় দেবগণ, রণবীর সিং, ক্যাটরিনা কইফ)৷ তাই আপাতত ছবি মুক্তি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্চ্য করছেন না পরিচালক রোহিত শেট্টি৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে তিনি চাইছেন না ছবি রিলিজ৷
এই সময় অক্ষয় কুমারের ছবি বেল বটমের ব্যবসার দিকে তাকিয়ে গোটা বলিউড৷ কারণ বেল বটম কেমন চলে, কতটা ব্যবসা দেয়, তার উপর নির্ভর করছে বলিউডের ভবিষ্যৎ৷ বেল বটমের ব্যবসার দিকে নজর রেখেই আগামীতে হলে ছবি মুক্তির কথা চিন্তা ভাবনা করবেন বলি প্রযোজক-পরিচালকরা৷ তাই তো খিলাড়ির খেল দেখতে মুখিয়ে সকলে৷