জানা গিয়েছে যে চিকিৎসকরা সিদ্ধার্থর শরীরে অস্বাভাবিক মৃত্যুর কোনও চিহ্ন খুঁজে পাননি। ময়নাতদন্তেও অভিনেতার মৃত্যুর কারণ হিসাবে উঠে এসেছে তীব্র, অকস্মাৎ হার্ট অ্যাটাকের কথা। কিন্তু তার পরেও কিছু কথা বাকি থেকে যাচ্ছে। ঘনিষ্ঠজনেরা দাবি করছেন যে পারিবারিক চিকিৎসক এক্সারসাইজ এবং ওয়ার্ক আউটের হার কমানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন অতিরিক্ত মাত্রায় স্বাস্থ্যসচেতন এই অভিনেতাকে। কিন্তু সিদ্ধার্থ চিকিৎসকের কথায় আমল দেননি। ফলে, হার্টের উপরে চাপ বেড়েই চলেছিল। যা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে চলতি মাসের ২ তারিখে ভোরের দিকে।
advertisement
ঘনিষ্ঠজনের বক্তব্য থেকে জানা গিয়েছে যে ১ সেপ্টেম্বর, বুধবার, রাত ৮টা নাগাদ একটি মিটিং থেকে বাড়িতে ফিরে আসেন সিদ্ধার্থ। এর পর রাত ১০টা নাগাদ তিনি অ্যাপার্টমেন্টে কমপ্লেক্সের মধ্যেই জগিং করতে বেরিয়ে পড়েন। বাড়ি ফিরে এসে খাওয়াদাওয়া সেরে ঘুমোতে চলে যান। কিন্তু ঘড়ির হিসেবে যখন ২ সেপ্টেম্বর, সময় রাত ৩টের কাছাকাছি, তখন বুকে এক ব্যথা নিয়ে ঘুম ভাঙে তাঁর। তিনি মা রীতা শুক্লার (Rita Shukla) কাছে জল খেতে চান। মা জল দিলে তা খেয়ে নিয়ে সেই যে ঘুমিয়ে পড়েন, আর চোখ খোলেননি!
পরিচিতরা বলছেন যে এই স্বাস্থ্যসচেতনতাই সিদ্ধার্থর কাল হয়েছে। চিকিৎসক নিষেধ করলেও তিনি রোজ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করতেন শরীরচর্চার খাতে। এখন বোঝা যাচ্ছে যে কেবল বাহ্যিক দিক থেকেই তাঁর শারীরিক কাঠামো ছিল দৃঢ়, বস্তুত তা ভিতরে ভিতরে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
সব মিলিয়ে, সিদ্ধার্থর এই করুণ পরিণতি প্রিয়জনের চোখ অশ্রসজল করে তুলেছে। জানা গিয়েছে যে আজ প্রথমে তাঁর মরদেহ কুপার হাসপাতাল থেকে জুহুর ব্রহ্মাকুমারী আশ্রমে প্রার্থনার জন্য নিয়ে আসা হবে। তার পর তা নিয়ে যাওয়া হবে ওশিওয়ারার বাসভবনে, শেষবারের মতো বাড়িতে ফিরবেন অভিনেতা ওশিওয়ারা শ্মশানে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে!