ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ফতিমাকে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে দেখা গিয়েছে। তিনি পরেছিলেন সাদা ক্রপ টপ, উপরে ছিল শার্ট সঙ্গে ডেনিম। সাদা মাস্কে ঢাকা ছিল গোটা মুখ। পাইপলাইনে তাঁর কী কী ছবি রয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে খানিক মন খারাপ হয়ে যায় নায়িকার। কারণ, করোনার অতিমারিকালে বলিউড প্রায় স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। পাপারাৎজির প্রশ্নের উত্তরে ফতিমা জানান, 'যখন কোভিড শেষ হয়ে যাবে, খতম হয়ে যাবে তখন সবাই যেমন কাজ পাবে, তেমনই আমিও কাজ পাব। এখন আমি বেকার হয়ে বসে রয়েছি।'
কয়েকদিন আগে একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফতিমা বলেছিলেন, 'আমি মানুষকে মনে করাই যে আমি রয়েছি। আমি অনেক ছবি করি না, তাই সব সময় আমাকে দেখা যায় না। কখনও কখনও লোকেরা কাস্টিংয়ের সময় ভুলে যান যে ইনিও একজন অভিনেতা। নিজের জায়গা তৈরির জন্য লড়াই চালাতেই হবে ইন্ডাস্ট্রিতে। আমাকে যদি তার জন্য কয়েকজন লোককে মনে করাতে হয় এবং অডিশন দিতে হয় তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। ঠিক আছে এটা।'
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে অ্যান্থলজি 'আজিব দাস্তানস'-এ দেখা গিয়েছিল ফতিমাকে। শশাঙ্ক খৈতানের লেখা গল্পের নায়িকা হয়েছিলেন তিিন। বিপরীতে ছিলেন জয়দীপ অহলওয়াত। ছবিটির নাম ছিল 'মঞ্জু'। ছোট গল্পের নায়িকা হিসেবে তাঁর কাজ দর্শকের মন জয় করেছে। পাপারাৎজির মুখে সে কথা শুনে খুশি হন নায়িকা। এর আগে ২০১৬ সালে আমির খানের 'দঙ্গল' ছবিতে কাজ করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন নায়িকা। এর পর লুডো, সূরজ পে মঙ্গল ভারী ছবিগুলিতে কাজ করেছেন তিনি। শিশুশিল্পী হিসেবেও চাচি ৪২০ ও ওয়ান টু কা ফোর-এ কাজ করেছিলেন ফতিমা সানা শেখ।