এদিন জ্যাকলিনের বয়ান রেকর্ড করেন ইডি অফিসারেরা। সূত্রের খবর, সুকেশের হাতে তিনিও প্রতারিত বলে দাবি করেছেন জ্যাকলিন এবং তাঁর সঙ্গে সুকেশের পরিচয়ের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন নায়িকা। সুকেশ চন্দ্রশেখর মহারাষ্ট্রের একজন বড়সড় প্রতারক হিসেবেই পরিচিত। রানব্যাক্সির মতো বড় কোম্পানির প্রোমোটার শিবিন্দর সিং ও মালবিন্দর সিংকে ২০০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে সুকেশ। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, সুকেশের স্ত্রী লীনার পাল্লায় পড়ে সুকেশকে কাজে যুক্ত করেছিলেন জ্যাকলিন।
advertisement
গত ২৪ অগস্ট ইডি চেন্নাইয়ে একটি সমুদ্র সৈকতের উপর তৈরি বিলাসবহুল বাংলো বাজেয়াপ্ত করেছিল। এর সঙ্গে প্রায় ৮২.৫ লক্ষ টাকা নগদ এবং প্রায় এক ডজন বিলাসি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এই প্রতিটি জিনিস সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতারণা মামলার সঙ্গে যুক্ত। দিল্লির আর্থিক তছরুপ শাখার কাছে সুকেশের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এছাড়াও সুকেশের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তোলাবাজি মিলিয়ে মোট ২০০ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। কী ভাবে এই সুকেশের সঙ্গে যোগ তৈরি হয়েছে জ্যাকলিনের তাই জানতে চায় ইডি।
এদিন রেকর্ড করা হয় জ্যাকলিনের স্টেটমেন্ট। জানা যায়, ঠগবাজ সুকেশ চন্দ্রশেখর নামে এক ব্যক্তি অভিনেত্রীর থেকেও টাকা নিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, সাক্ষী হিসেবে যার জেরা চলছিল, সে নিজেই প্রতারণার শিকার। ইডি সূত্রে খবর, জ্যাকলিন সুকেশ চন্দ্রশেখর ও তাঁর প্রেমিকা লীনা পালের কথায় ফেঁসে গিয়ে খুইয়েছেন প্রচুর অঙ্কের টাকা। জ্যাকলিনের সঙ্গে কথা বলে ইডি-র হাতে এসেছে বহু জরুরি তথ্য। জেলে বসেই এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল সুকেশ। আপাতত রোহিনী জেলে আছে সে। সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দিল্লির এক ব্যবসায়ী। তাঁর অভিযোগ এক বছরে তাঁর ২০০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে সুকেশ চন্দ্রশেখর।
আরও পড়ুন: কালো ব্রালেটের সঙ্গে চকচকে কর্ড প্যান্টে চোখে ধাঁধা লাগাচ্ছেন হট জ্যাকলিন!