বিপাশা দাস কোনওদিন গান শেখার সুযোগ পাননি। অভাবের সংসার। সেখানে মেয়ের যত ভালোই গলা হোক না কেন, গান শেখাবার ক্ষমতা ছিল না তাঁর বাবার। কিন্তু চেষ্টা ছাড়েননি বিপাশা। তাঁর গানের গলা একেবারে লতার মতো। শুনে শুনে তিনি শিখেছেন এই গান। গানের ভালোবাসা থেকে তিনি বিয়ে করেছিলেন এক খোল বাদককে। তারপর টিনের চালের ঘরে সুখের সংসার। সন্তানদের বড় করা। পাড়ার মোড়ে ছোট্ট চায়ের দোকান চালিয়েই সংসার চলে বিপাশা দাসের। স্বামী মাঝে মধ্যে খোল বাজানোর বরাত পান। অবসর সময়ে দু'জনে মিলে মেতে ওঠেন গান চর্চায়।
advertisement
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিপাশার গান শেয়ার হতেই ভাইরাল হয়। অভাবের সংসার সামলেও তিনি গানকে আঁকড়ে ধরে রয়েছেন। কোথাও গান না শিখেও যে এত ভাল গান করা যায় তা বিপাশাকে দেখেই বোঝা যায়। তাঁর এই প্রতিভার কদর করেছে গোটা নেট দুনিয়া। উল্লেখ্য এর আগেও নদীয়ার রানাঘাটের রানু মন্ডল রাতারাতি নেটদুনিয়ায় বিখ্যাত হয়ে যায় তার একটি গানের ভিডিও ঘিরে। এরপর তিনি অনেক সুযোগ পেয়েছিলেন তার প্রতিভা তুলে ধরার। সকলেই বলছেন বিপশা দাসের সুযোগ পাওয়া দরকার। কেন তিনিও নিজের প্রতিভা গোটা দেশের সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবেন না ! আপাতত নেট মাধ্যমে তুমুল ভাইরাল তাঁর গান।