রিয়েলিটি শোতে প্রবেশের আগে তোলা এই ক্লিপটিতে তানিয়ার প্রেমানন্দ মহারাজের আশ্রমে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, যেখানে তিনি সন্তকে জীবন, সম্পদ এবং সুখ সম্পর্কে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তবে, সহানুভূতি অর্জনের পরিবর্তে ভিডিওটি দর্শকদের কাছ থেকে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যের বন্যা বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন-সেপ্টেম্বরেই ‘মালামাল’…! মা দুর্গার সবচেয়ে প্রিয় এই ৪ রাশি, দু-হাত ভরিয়ে দেবেন অঢেল অর্থ-যশ-সম্পত্তি, মহালক্ষ্মী রাজযোগে ভাসবেন টাকার সমুদ্রে
advertisement
খ্যাতি এবং অভ্যন্তরীণ শান্তি সম্পর্কে তানিয়ার প্রশ্ন
ভাইরাল ভিডিওতে তানিয়া মিত্তলকে সাধুর সামনে তাঁর জীবন সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘মহারাজজি, আজ আমার অনেক খ্যাতি, টাকা, সমস্ত আরাম আছে, কিন্তু এই অসুবিধাগুলি কাটিয়ে উঠতে গিয়ে আমি বুঝতে পারিনি যে আমি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি। আমি বিশ্বকে দেখাচ্ছি যে আমি খুশি, কিন্তু কেন আমি ভেতর থেকে খুশি নই?’
তানিয়ার কথাগুলো তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাত্রার পরেও একাকিত্ব এবং অসন্তুষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছিল। অনেকের কাছে এটি বিগ বস প্রতিযোগীর সততার একটি বিরল উদাহরণ বলে মনে হয়েছিল, যিনি হামেশাই ১০০ জন দেহরক্ষী থাকার এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন করার দাবির জন্য সমালোচিত হয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন-সেপ্টেম্বরেই লাগবে ‘লটারি’…! পুজোর আগেই ‘মালামাল’ ৩ রাশি, উপচে পড়বে ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স, খুলে যাবে ভাগ্যের দরজা
প্রেমানন্দ মহারাজের আধ্যাত্মিক প্রতিক্রিয়া
তানিয়ার প্রশ্নের উত্তরে প্রেমানন্দ মহারাজ শান্তভাবে বলেন, ‘প্রকৃত সুখ পৃথিবীর কোনও কিছু বা ব্যক্তির মধ্যে নেই। পরম সুখ কেবল ঈশ্বরের চরণেই।’ তাঁর আধ্যাত্মিক উত্তরে এই কথাই জোর দিয়ে বলা হয়েছিল যে বস্তুগত সম্পদ এবং খ্যাতি স্থায়ী শান্তি বা পরিপূর্ণতা প্রদান করতে পারে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়
সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা অবশ্য মহারাজের মতো সহানুভূতি দেখাননি। অনেকেই তানিয়ার বিরুদ্ধে ভণ্ডামির অভিযোগ এনেছেন, দাবি করেছেন যে তিনি ক্যামেরার সামনে আধ্যাত্মিকতার ভান করছেন। একজন ইউজার মন্তব্য করেছেন, ‘যারা দুটি মুখ নিয়ে ঘুরে বেড়ায় তারা সুখী হতে পারে না।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘যতক্ষণ ভণ্ডামি থাকবে, ততক্ষণ আপনি সুখী হবেন না। আপনি আসলে কী তা-ই দেখান।’
খুব সম্ভবত তানিয়া একটি হৃদয়স্পর্শী কনটেন্ট ভাগ করে নেওয়ার ইচ্ছা থেকেই এই ভিডিও পোস্ট করেছিলেন, তবে অনলাইন প্রতিক্রিয়া দেখায় যে তাঁর সম্পর্কে জনসাধারণের মনে সমর্থনের চেয়ে সমালোচনা বেশি!