যে বাঙালির আশ্বিন আছে, যে বাঙালির মহালয়া আছে, তার সন্ধ্য়াও আছে। মহিষাসুরমর্দিনী’র দ্বিতীয় গানটি ভৈরব রাগে। সংগীত-আয়োজনে ছিলেন পঙ্কজ কুমার মল্লিক। গানে ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay), হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, শিপ্রা বসু, সুপ্রীতি ঘোষ, শ্যামল মিত্র, সত্য চৌধুরী, বিমলভূষণ, মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, তালাত মামুদ উৎপলা সেন, রাইচাঁদ বড়াল, পঙ্কজ কুমার মল্লিক, দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়, ইলা বসু, আরতি মুখোপাধ্যায়, প্রমুখ।
advertisement
'বিমানে বিমানে আলোকের গানে জাগিল ধ্বনি’ শোনা যায় তাঁর গলায়। সুপ্রভা সরকারের রেকর্ড করা গান ‘অখিল বিমানে তব জয়গানে’ এবং প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অমল কিরণে ত্রিভুবন মনোহারিণী’ গেয়েছেন।
তাঁর অবশ্য় লাইভই পছন্দ ছিল। রেকর্ড করা গান তাঁর ভাল লাগেনি মোটেই। সে আক্ষেপ বহু বছর করে গিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৪ বছর বয়সে জীবনের প্রথম গান রের্কড করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় !
বাড়িতে নিজের দাদার কাছেই গানের (Sandhya Mukhopadhyay death)হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। দাদা রবীন্দ্র নাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছেই সঙ্গীতের প্রথম পাঠ নেন তিনি। ১৯৪৫ সাল মাত্র ১৪ বছর বয়সে জীবনের প্রথম গান রেকর্ড করেন তিনি। গিরিন চক্রবর্তীর কথায় ও সুরে 'তুমি ফিরায়ে দিয়াছ' এবং 'তোমার আকাশে ঝিলমিল করে' গান দুটি প্রথম রেকর্ড করা হয়। কলম্বিয়া থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর গানের রেকর্ড।
আরও পড়ুন: 'গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু' ! ১৯৫৪ সাল ! পথ চলা শুরু সন্ধ্যা-সুচিত্রার ! বাস্তবেও তাঁরা প্রিয় বন্ধু !
বাঙালি জন্মের পরের প্রথম মহালয়াতেই শুনে নিয়েছে তাঁর গলা। তারপর আলো ফুটেছে। পুজোর আলো। রোদ উঠেছে শরতের রোদ। যতদিন মহালয়া থাকবে, বীরুপাক্ষ থাকবেন, পুজো থাকবে, আশ্বিন থাকবে, ততদিন জ্বলবে সন্ধ্য়াতারা...