কিন্তু গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তাঁর হাতে কাজ নেই। কোনও চ্যানেল, বা প্রযোজক তাঁকে ডাকেননি অভিনয়ের জন্য। গত বছর কোভিডে বাবাকে হারিয়েছেন শুভ। তারপর বাবার পেনশনের টাকাতেই বিধবা মাকে সংসার চলে তাঁর। জীবনে ছেলে আর কিছু করতে পারবে না ভেবে কষ্ট পান মাও। শেষ পর্যন্ত অবসাদ এতটাই ঘিরে ধরে যে সুইসাইড করতে চান তিনি।
advertisement
ফেসবুক লাইভে এসে শুভ গিটার বাজিয়ে গান গায়। বলেন, " আমার জীবনে কিছুই করার নেই। কেউ আমাকে অভিনয়ের জন্য ডাকে না। পুলিশ ফাইলে কাজ করেছি কয়েক দিন আগে। কিন্তু তা দিয়ে যাতায়াতের টাকাও হয় না। কিন্তু লোকে যে বলতো আমি খুব ভালো অভিনয় করি, তাহলে কেন কাজ পাই না। তাহলে হয়ত অভিনয়টাও জানি না। এভাবে বেঁচে থেকে কি লাভ। এই কারণেই বোধ হয় সুশান্তের মতো ছেলেরা সুইসাইড করে। " এসবের মাঝেই একের পর ওষুধ খেতে থাকেন। এবং বলেন কেন তিনি ঘুমের ওষুধ খেয়ে মরতে চান তার কারণ। সব শেষে 'ও জীবন ছাইরা যাস না মোরে' গান ধরেন তিনি।
এই সময় তাঁর ফ্রেন্ড লিস্টের একজন এই ভিডিও দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তৎপর হয় পুলিশ। ফেসবুক থেকে ঠিকানা বার করে শুভর বাড়ি পৌঁছে, তাঁকে বাঁচাতে পেরেছে পুলিশ। ওদিকে বাড়িতে শুভর এক দিদিও রয়েছে তা জানা যায়। ঘরে থাকা সত্ত্বেও তাঁরা কিছুই টের পাননি।