‘বাংলা আবার ভাষা নাকি, নেই কোনও ‘চার্ম’ বেঙ্গলিতে/সহজ-সরল এই কথাটা লজ্জা কীসের মেনে নিতে? ইংলিশ ভেরি ফ্যান্টাসটিক, হিন্দি সুইট সায়েন্টিফিক/বেঙ্গলি ইজ গ্ল্যামারলেস, ওর ‘প্লেস’ এদের পাশে না/জানেন দাদা, আমার ছেলের, বাংলাটা ঠিক আসে না’
২০ হাজারেরও বেশি ছড়া প্রকাশিত হয়েছে কবি ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের। অধিকাংশই প্রশংসা পেয়েছে বটে, কিন্তু ‘বাংলাটা ঠিক আসে না’ কবিতা দিয়ে যেভাবে তোপ দেগেছিলেন তিনি, তার পর এই কবিতার পংক্তি সাধারণের মুখে মুখে শোনা যেতে থাকে।
advertisement
বাংলা ভাষা নিয়ে নাক সিঁটকানো, নিজের মাতৃভাষা নিয়ে ঠাট্টা-মস্করার মানসিকতাকে ধিক্কার জানিয়েছিলেন এই কয়েক পংক্তিতে। শুধু তা-ই নয়, এই ধরনের মনোভাবকে যে রকম সহজ, সরল ভাষা দিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি, তা বাংলা ভাষায় সচরাচর দেখা যায়নি। সেই মানুষটিই বাংলা ভাষা উদযাপনের আগে চলে গেলেন চিরঘুমে।
১৯৫০ সালের ৯ এপ্রিল হাওড়ায় জন্ম তাঁর। সানপুর কালীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন কবি। তাঁর ছড়া সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, সুকুমার রায়ের উত্তরসূরি যদি কেউ থাকেন, তিনি ভবানীপ্রসাদ মজুমদার। ভবানীপ্রসাদ মজুমদার সুকুমার রায় শতবার্ষিকী পুরস্কার পেয়েছিলেন সত্যজিৎ রায়ের হাত থেকে। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পুরস্কার পেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে।