তারপর? তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল বাংলা ইন্ডাস্ট্রি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহল, বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল দুই ভাগে। কেউ বলছেন, অনুরাগ যা বলেছেন, একদম ঠিক, ওঁর ধক রয়েছে, তাই বলতে পেরেছেন। কেউ আবার বলছেন, অনুরাগ নিজে শেষ কবে ভাল ছবি বানিয়েছেন শুনি, উনি কীভাবে একটি ইন্ডাস্ট্রিকে ছোট করতে পারলেন, এখনকার কটা বাংলা ছবি দেখেছেন তিনি?
advertisement
সেই ঘটনার প্রায় দেড় মাস পরে বাংলার নিজের পরিচালক দেবালয় ভট্টাচার্য খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপকে? নিজের শেষতম ছবি ‘শ্রী স্বপনকুমারের বাদামি হায়নার কবলে’কে ‘ঘটিয়া’ তকমা দিলেন। কিন্তু কেন?
নববর্ষ উপলক্ষে আগামী ১২ এপ্রিল হইচই-তে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। মধ্যবিত্ত, রুচিশীল বাঙালি সংস্কৃতি যে গোয়েন্দা দীপক চ্যাটার্জীকে গ্রহণ করেনি, স্বপনকুমারের সেই গোয়েন্দাকে পর্দায় নিয়ে এসেছেন দেবালয়। ব্যোমকেশ, ফেলুদার যৌক্তিক দুনিয়া নয়, রহস্য-রোমাঞ্চকর এক অবাস্তব, পরাবাস্তব জগৎকে টেনে হিঁচড়ে বাঙালির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন দেবালয়। চলচ্চিত্রটি সমালোচক থেকে শুরু শ্রোতারা, এই ছবিটি বানানোর ঘরানা, গল্পকথন এবং এই অনন্য প্রয়াসকে প্রশংসায় ভরিয়ে তুলেছিলেন। বর্ষীয়ান অভিনেতা পরান বন্দোপাধ্যায় এবং আবির চট্টোপাধ্যায়ের যুগলবন্দি নিয়েও কম মাতামাতি হয়নি গত জানুয়ারি মাসে।
নিজের ছবির ওটিটি মুক্তির ঘোষণার পাশাপাশি একটি ভিডিও প্রকাশ করলেন দেবালয়। জানালেন, এখনকার বাংলা ছবির অবনতি হয়েছে বলেই তিনি মনে করেন। এমনকি নিজের ছবিকেও সেই অবনতির জোয়ারে ভাসিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি। ‘শ্রী স্বপনকুমারের বাদামি হায়নার কবলে’কেও এই ‘ঘটিয়া’ ছবির অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেন দেবালয়। নিজের চিত্রনাট্য, সংলাপ এবং দীপক চ্যাটার্জি এবং স্বপন কুমারের চরিত্রের খুঁটিনাটি ধরে সমালোচনা করেন। কিন্তু সেই মন্তব্যগুলিতে ব্যঙ্গ স্পষ্ট।
এখনকার বাংলা ছবির প্রতি অনুরাগের রাগ-অনুরাগের প্রসঙ্গ তুলে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেন দেবালয়। আগামী ১২ এপ্রিল ওটিটি-তে মুক্তি পাওয়ার পর সেই ছবি দেখে যদি অনুরাগ তাঁর বিশ্বাসে দৃঢ় থাকেন যে বাংলা সিনেমা নিম্নমানের হয়ে গিয়েছে, তাহলে দেবালয় আর ছবি বানাবেন না বলে ঘোষণা করেন।