TRENDING:

Kaberi Series: সমাজের চাপে অনেকে চুপ থাকেন, কন্ঠস্বর ওঠাতে পারেন না, নিজের উত্তরণ ঘটানো খুব সহজ নয়: পাওলি দাম

Last Updated:

Paoli Dam: Hoichoi-তে মুক্তি পেয়েছে পাওলি দামের ওটিটি সিরিজ কাবেরী৷ এক মহিলার লড়াইয়ের গল্প, ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প৷ নিউজ 18 বাংলার মুখোমুখি পাওলি৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
প্রশ্ন- কালি সিরিজে অভিনয় করেছিলেন, তারপর অনেক দেরিতে বাংলা সিরিজে ফিরলেন৷ এত সময় লাগল কেন?
advertisement

উত্তর- খুব ভাল লাগল আপনি কালি সিরিজটিকে বাংলা সিরিজ হিসেবে উল্লেখ করলেন৷ বেশির ভাগ মানুষই এটাকে হিন্দি সিরিজ হিবেসে মনে করে৷ তবে এটা ঠিক কালি সিরিজটি ছিল দ্বিভাষিক৷ এরপর বাংলা সিরিজ আমি করিনি৷ সেক্ষেত্রে কাবেরী পুরোপুরি বাংলা দর্শকদের জন্য৷ এর মাঝে বহু হিন্দি সিরিজে অভিনয় করেছি৷ কেন কাজ করিনি? কারণ আমি ভাল কন্টেন্টের অপেক্ষায় ছিলাম৷ এখানে কাজের এক ধরনের পরিকাঠামে৷ আমি কখনও হিন্দির মতো কাজের ধরন এখানে পাব, সেটা ভাবি না৷ কিন্তু কন্টেন্ট, বাজেট এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ অ্যাক্রপলিসের-(কাবেরীর প্রযোজক সংস্থা) সানির সঙ্গে অনেকদিন কথা হচ্ছিল৷ এবার যখন এই চরিত্রটা অফার করল, তখন আমার খুব পছন্দ হল৷ ডোমেস্টি ভায়োলেন্স-এর খবর এখন চারিদিকে৷ খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায়৷ ফলে এমন একটা গল্পে আমি চাইছিলাম অভিনয় করতে৷ রাজি হয়ে গেলাম৷

advertisement

প্রশ্ন-মেয়েদের মধ্যে লড়াই করার ক্ষমতাটা কি সহজাত?

উত্তর- মেয়েরা অনেক স্পর্শকাতর হয়৷ অনেক কিছু তাঁর গ্রহণ করতে পারে সহজে৷ এমন নয় যে ছেলেদের মধ্যে এই ধরনের গুণ থাকে না৷ বহু পুরুষ খুব নরম মনের মানুষ হন৷ আমাদের সমাজ ব্যবস্থা অনেক কিছুতে বাধা দেয়৷ তবে এটা ঠিক মেয়েরা লড়াই করতে জানে, ঘরে বাইরে তাদের এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় প্রতিনিয়ত৷

advertisement

প্রশ্ন-মেয়েরা মেয়েদের পাশে দাঁড়ায় না, এটাও কি পুরুষতন্ত্রের একটা ভুল প্রচার?

উত্তর- এখন যে শহরে প্রতিবাদ হচ্ছে সেটা তো এই কথাটা পুরো নসাৎ করে দিচ্ছে৷ মেয়েরা এখন মেয়েদের পাশে দাঁড়াচ্ছে৷ এখন আমরা অনেক বেশি মানবিক মুখ দেখছি৷ বুলবুল সিরিজে যে বিনোদিনী চরিত্র আমি করেছিলাম সেখানে দেখানো হয়েছিল যে বিনোদিনী বুলবুলকে সহ্য করতে পারছে না৷ অথচ কাবেরীতে কিন্তু ঠিক উল্টো৷ কাবেরী শম্পাকে সাহায্য করছে৷ প্রতিবাদ এক একজনের এক এক রকম৷ কাবেরীতে আমার আর শম্পার শিক্ষিকা-ছাত্রীর সম্পর্ক৷ এটা তো ঠিক যে একজন শিক্ষিকা ছাত্র-ছাত্রীকে গোড়া থেকে তৈরি করেন৷ এখানেও সেটাই দেখানো হয়েছে৷

advertisement

প্রশ্ন- এখন অনেক মেয়ে কর্মরতা৷ তবে যাঁরা স্বেচ্ছায় ঘর-সংসার করে, তাঁদের অনেক সময় নিচু নজরে দেখা হয়ে৷ আপনার কী মত? এদের কী বেশি সংসারের যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়ে?

উত্তর- কাবেরীতে অভিনয় করার সময় একটি তথ্য আমাকে দেখানো হয়৷ সেখানে উঠে এসেছে যে বহু মহিলার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন যন্ত্রণার শিকার হচ্ছেন৷ লোকলজ্জার ভয় তাঁরা অনেক কিছু মুখ বুজে সহ্য করেন৷ ঠিক কাবেরী যেমন৷ অনেক বেশি মানিয়ে নিতে পারে, সহ্য ক্ষমতাও অনেকটা বেশি৷ অভিনয় করতে বা চরিত্রে ঢুকতে আমার প্রথমদিকে সমস্যা হয়েছিল৷ কারণ আমি শুধু বলতাম যে কেন কাবেরী এতটা সময় নিচ্ছে ঘুরে দাঁড়াতে, প্রতিবাদ করতে৷ ফলে একটা জিনিস পরিষ্কার যে যতই শিক্ষিত হোক না কেন, কণ্ঠস্বর জোগাতে পারেন না অনেকে৷ নিজের উত্তরণ ঘটাতে পারা সহজ নয়, সমাজের চাপেই হোক বা পারিবারিক চাপে৷ পুরুষদের আবার অন্য সমস্যা রয়েছে৷ তাঁরা বাড়িতে নিজেদের যত রাগ, ক্ষোভ তা উগড়ে দেন৷ কারণ বাইরে যদি তাঁরা কোনওভাবে নরম মনের প্রকাশ করে, তাহলে তাঁদের অসম্মান করা হবে৷ ফলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ফল ভুগতে হয়ে নারী-পুরুষ উভয়কে৷ তবে আমি মনে করি, নিজের কথা সবসময় বলা দরকার৷ এবং সেভাবেই নিজের মুক্তি মেলে৷ এটাই হয় তাদের জীবনের জয়ের গল্প৷

advertisement

প্রশ্ন- পরিচালক সৌভিক কুণ্ডু সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?

উত্তর– খুব ভাল অভিজ্ঞতা৷ খুব সুন্দর করে আমায় সবটা বুঝিয়ে দিয়েছে চরিত্র৷ কারণ আগেই বলেছি যে কাবেরীর চরিত্র করতে গিয়ে আমার প্রথমে সমস্যা হচ্ছিল৷ সৌভিকই আমায় ধীরে ধীরে পুরোটা বুঝিয়ে দেয় যে কেন কাবেরী প্রথমে প্রতিবাদ করে না, কেন এতটা সময় নিচ্ছে৷ তবে শুধু সৌভিক নয়, পুরো টিমই খুব ভাল ছিল৷ সহ অভিনেতারও খুব আন্তরিক ছিলেন৷

প্রশ্ন- পাওলি কি ভুল দেখলেই প্রতিবাদ করেন?

উত্তর-তা করি৷ মানে স্ত্রীকে মারধর করার মতো নক্কারজনক ঘটনা দেখলে রুখতে তো হবেই৷

প্রশ্ন-এখন কী নিয়মিত ওটিটি-তে দেখা যাবে?

উত্তর– নিশ্চয়ই৷ ভাল চরিত্র, গল্প পেলে তো কাজ করবই৷ আর এখন বাংলাতে অনেক কাজ হচ্ছে৷ অনেক ক্ষেত্রে সেগুলো আবার জাতীয় স্তরের থেকেও উন্নত মানের৷

প্রশ্ন-পাওলির পুজো কেমন কাটে? এবার কী প্ল্যান?

উত্তর-একদম প্ল্যান করি না৷ ৮ তারিখ কাবেরী মুক্তি পেয়েছে৷ আশা করব সবাই পুজোতে কাবেরী দেখবেন৷ এবার তো ৯ অক্টোবর পর্যন্ত কাজ করব৷ তারপর থেকে ছুটি৷ জানি না এখানে থাকব নাকি অন্য কোথাও৷

আরও পড়ুনGovinda News: ফাঁস হল আসল কারণ! গোবিন্দার ঘরে ‘গুলি চলার’ গোপন খবর জানিয়ে দিলেন বন্ধু শত্রঘ্ন সিনহা!

প্রশ্ন-এখন অনেকে একা থাকতে পছন্দ করছেন৷ আপনার কী মনে হয় সংসার করার প্রয়োজন আছে?

উত্তর– এক একজন এক একরকম ভাবে চলতে পারেন৷ একসঙ্গে থাকা শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকে তো নয়, সোশ্যাল ব্যালেন্স, সংসার বাড়ানো বা আরও অনেক কারণে থাকে৷ এটা বহু বছরের একটা সামাজিক ব্যবস্থা৷ তবে সেখানে থাকতে হলে আন্তরিক ভাবে থাকা কাম্য৷ এক সঙ্গে থাকার ইচ্ছে থাকতে হবে৷ কথায় বলে যে দুটো বাসন যদি একসঙ্গে থাকে তাহলে ঠোকাঠুকি লাগতে পারে৷ তাই দু’জন একসঙ্গে থাকলে ঝামেলা হতে পারে৷ কারণ দুটি মানুষের চাওয়া-পাওয়া আলাদা৷ জীবনের ধারনা আলাদা৷ তারপরও একসঙ্গে থাকার কথা ভাবলে ভালবেসে থাকতে হবে৷ আর কেউ যদি একা থেকে শান্তি পান, তাহলে সেটাই করুন৷

প্রশ্ন-শহর কলকাতা দেখিয়ে দিল প্রতিবাদ কাকে বলে! আপনিও সহমত?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

উত্তর– শহর কখনই ঘুমিয়ে ছিল না৷ এই শহর আমার প্রিয় শহর৷ এ শহর শুধু ইট কাঠ বালি দিয়ে তৈরি নয়৷ এখানে আমার পড়াশুনা, শিক্ষা, সিনেমার শিক্ষা, আমার কাজ, আমার পরিচিতি তৈরি হয়েছে৷ আমার গর্বের শহর৷ সময়ের দাবি মেনে সবার কন্ঠস্বর মিলে গেল৷ বুঝিয়ে দেওয়া গেল যে প্রয়োজনে সবাই সামনে এসে প্রতিবাদ করবে৷

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
Kaberi Series: সমাজের চাপে অনেকে চুপ থাকেন, কন্ঠস্বর ওঠাতে পারেন না, নিজের উত্তরণ ঘটানো খুব সহজ নয়: পাওলি দাম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল