TRENDING:

‘প্রকৃতি বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা তার কাছে খুবই নগণ্য ’: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়

Last Updated:

কেটে গিয়েছে ১৪ দিনেরও বেশি। এবারে আস্তে আস্তে অনেকটা যেন স্বস্তি।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: কেটে গিয়েছে ১৪ দিনেরও বেশি। এবারে আস্তে আস্তে অনেকটা যেন স্বস্তি। আগে মহামারির কথা, শুনেছেন বা পড়েছেন, কিন্তু নিজেকেও যে একদিন এরকম সময়ের সাক্ষী থাকতে হবে তা বোধ হয় স্বপ্নেও ভাববেননি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই কদিনে জীবনের অনেক কিছু যেন আরও বেশি করে উপলব্ধি করতে পেরেছেন তিনি। সাউথ আফ্রিকাতে তখন চলছে কাকাবাবুর ছবির শুটিং। শহর ছাড়ার আগে করোনা বলে যে একটা বস্তু চায়নাতে ভালো মতন থাবা বসিয়েছে সে খবর ছিল সবার কাছেই। কিন্তু এই করোনা যে এইভাবে থাবা বসাবে নিজের দেশে তা বোধ হয় ইয়ত্তা করতে পারেননি কেউই। যবে ফেরার কথা তার থেকে আগে ফিরতে হলো শহরে। একটা ধাপ পেরোনো গেল। সবাই সুষ্ঠভাবে বাড়িতে ফিরলো, কিন্তু তারপরে অপেক্ষা করছিল আরও কঠিন পরীক্ষা।নিজেকে সরিয়ে রাখতে হবে গোটা পরিবারের থেকে পুরো ১৪ দিন। এছাড়াতো কোনো উপায়ে নেই। আসলে করোনা কাউকেই চেনে না তাই সুপারস্টার প্রসেনজিৎ কেও সেই একই নিয়ম পালন করতেই হলো। আর এই সৎ মানুষটা একদম তাই করলেন ঠিক যেমনটা বলা হয়েছিল।নিজের বাড়ির চার তলায় একটা ঘর।তাতে আছে একটা টয়লেট আর একটা লাগোয়া ছাদ।
advertisement

এই চোদ্দদিন একেবারে কার্যত কারুর মুখ না দেখে কাটালেন বুম্বাদা। ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা তোলা, নিজের জামাকাপড় কাচা, সেই গুলো শুকোতে দেওয়া সবটাই নিজে।যে ঘরে থাকছেন সেই ঘরটাও ঝাড়া মোছাটাও নিজেই করেছেন তিনি।দু বেলা শুধু নিচ থেকে খাবার এসেছে।তাও অনেক দূরে ঢাকা দিয়ে রাখা থাকত। সত্যি কোনো কষ্ট হয়নি? এইভাবে হয় নাকি? প্রসেনজিৎ মনে করেন,কেন হবেনা। এটা এমন কি কঠিন জিনিস।এতো মানুষের কথা ভেবে তো করতেই হবে। প্রশাসন যেরকম নিয়ম করে দিয়েছে সেটা তো সবাইকে মানতেই হবে।

advertisement

এখন এমন একটা সময়,শুধু নিজেরটা ভাবলে হবে না। গোটা সমাজের কথা ভেবে চলতে হবে। অনেকেই তো সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক ভিডিও ছবি পোস্ট করছেন কিন্তু নিজেকে এই সব থেকে বিরত রাখতেই চান বুম্বাদা। কারণ তাঁর কাছে এটা কোনও আনন্দের সময় নয় বরং এই লড়াইটা সবাই কাঁধে কাঁধ রেখে চলার সময়।কিন্তু এইযে এতটা সময় কাজ বন্ধ কতটা পিছিয়ে গেলো বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি? প্রসেনজিৎ মনে করেন এই সময়টা ভালো মতন কাটিয়ে ওঠাটাই এখন সবার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখা বা একসঙ্গে অনেক মানুষকে নিয়ে শুটিং করা এই দুটোই এখন বেশ কিছুদিন মাথা থেকে সরিয়ে রাখাই ভালো।

advertisement

যারা ইন্ডাস্ট্রির টেকনিশিয়ান্স আছেন তাদের কথা ভেবে অল্প অল্প করে সাহায্যের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে।

কিন্তু কেন হলো এরকম?

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

প্রসেনজিৎ-এর উপলব্ধি, প্রকৃতি বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা তার কাছে খুবই নগণ্য। ঈশ্বরকে আর প্রকৃতিকে সন্মান করা উচিত।জীবন এখন এমন এক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যেখানে সবাই এখন এক। তাই কাঁধে কাঁধ রেখে হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গেই এই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। মানুষই পারবে মানুষকে বাঁচাতে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/বিনোদন/
‘প্রকৃতি বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা তার কাছে খুবই নগণ্য ’: প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল