এই চোদ্দদিন একেবারে কার্যত কারুর মুখ না দেখে কাটালেন বুম্বাদা। ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা তোলা, নিজের জামাকাপড় কাচা, সেই গুলো শুকোতে দেওয়া সবটাই নিজে।যে ঘরে থাকছেন সেই ঘরটাও ঝাড়া মোছাটাও নিজেই করেছেন তিনি।দু বেলা শুধু নিচ থেকে খাবার এসেছে।তাও অনেক দূরে ঢাকা দিয়ে রাখা থাকত। সত্যি কোনো কষ্ট হয়নি? এইভাবে হয় নাকি? প্রসেনজিৎ মনে করেন,কেন হবেনা। এটা এমন কি কঠিন জিনিস।এতো মানুষের কথা ভেবে তো করতেই হবে। প্রশাসন যেরকম নিয়ম করে দিয়েছে সেটা তো সবাইকে মানতেই হবে।
advertisement
এখন এমন একটা সময়,শুধু নিজেরটা ভাবলে হবে না। গোটা সমাজের কথা ভেবে চলতে হবে। অনেকেই তো সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক ভিডিও ছবি পোস্ট করছেন কিন্তু নিজেকে এই সব থেকে বিরত রাখতেই চান বুম্বাদা। কারণ তাঁর কাছে এটা কোনও আনন্দের সময় নয় বরং এই লড়াইটা সবাই কাঁধে কাঁধ রেখে চলার সময়।কিন্তু এইযে এতটা সময় কাজ বন্ধ কতটা পিছিয়ে গেলো বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি? প্রসেনজিৎ মনে করেন এই সময়টা ভালো মতন কাটিয়ে ওঠাটাই এখন সবার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখা বা একসঙ্গে অনেক মানুষকে নিয়ে শুটিং করা এই দুটোই এখন বেশ কিছুদিন মাথা থেকে সরিয়ে রাখাই ভালো।
যারা ইন্ডাস্ট্রির টেকনিশিয়ান্স আছেন তাদের কথা ভেবে অল্প অল্প করে সাহায্যের ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে।
কিন্তু কেন হলো এরকম?
প্রসেনজিৎ-এর উপলব্ধি, প্রকৃতি বুঝিয়ে দিয়েছে আমরা তার কাছে খুবই নগণ্য। ঈশ্বরকে আর প্রকৃতিকে সন্মান করা উচিত।জীবন এখন এমন এক জায়গায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যেখানে সবাই এখন এক। তাই কাঁধে কাঁধ রেখে হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গেই এই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। মানুষই পারবে মানুষকে বাঁচাতে।