সেই গানের দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানাতে দেড়শ কণ্ঠে বন্দেমাতরম গানের আয়োজন করেছেন ভারত মাতা সেবা কমিটি। বঙ্কিমচন্দ্র যখন হুগলিতে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন,সে সময় চুঁচুড়া জোড়াঘাটে বন্দেমাতরম ভবনে থাকতেন। তার জন্মস্থান নৈহাটির কাঁঠালপাড়ায় তিনি বন্দেমাতরম রচনা করেছিলেন ১৮৭৫ সালে।
জোড়াঘাটের বাড়িতে আনন্দমঠ উপন্যাসে সেই লেখা তিনি ভবানী পাঠকের মুখ দিয়ে বলিয়েছিলেন দেশমাতৃকার বন্দনায়। সেই সৃষ্টিতে সুর আরোপিত হয়েছিল আরওকিছুদিন পর জোড়াঘাটের বাড়িতেই। সেই গীত ভারতের রাষ্ট্র গীতে পরিনত হয়। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বন্দেমাতরম দেশবাসীকে উদ্বেলিত করেছিল। সেই গীত রচনার দেরশ বছর পূর্ণহচ্ছে এবছর। একটি সূত্র মতে ২০ ডিসেম্বর ১৮৭৫ বঙ্গদর্শন পত্রিকায় প্রথম বন্দেমাতরম ছাপা হয়েছিল।
advertisement
তাই ওই দিন ভারতমাতা সেবা সমিতি নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে বলে জানান সেবা সমিতির পক্ষে সুবীর নাগ। ২২ জুন জোড়াঘাটে বন্দেমাতরম ভবনে পালিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান। সকাল থেকে দেশাত্মবোধক অঙ্কন প্রতিযোগিতা। তার পর বিকাল পাঁচটা থেকে দেড়শ কন্ঠে বন্দেমাতরম গান করেন শিল্পীরা। কবি সাহিত্যিক গুণীজনরা উপস্থিত ছিলেন এই বিশেষ অনুষ্ঠানে। রাহী হালদার