লাইফ সাপোর্টে থাকলেও অক্সিজেন মাত্রা কম ছিল। এক সময়ে কোনও চিকিৎসাতেই সাড়া দিচ্ছিলেন না তিনি। তাই শেষরক্ষা আর হল না। সঙ্গীতের যাত্রা অপূর্ণ রেখেই পরপারে পাড়ি দিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বাংলাদেশেরই দুই সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ও জয় শাহরিয়ার। ইউটিউবের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যেত বর্ণের গান। তাই তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকস্তব্ধ হয়ে যান অনুরাগীরা।
advertisement
বর্ণ চক্রবর্তীর কণ্ঠে গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত, যেমন মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, তুমি রবে নীরবে ইত্যাদির ভিউজ সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। ইউটিউবেও কমেন্টে তাঁর অনুরাগীরা সমবেদনা জানান। কলকাতার সঙ্গীত পরিচালক রণজয় ভট্টাচার্য এবং বাংলাদেশের সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার, গীতিকার আসিফ ইকবাল, রন্টি দাস, জুলফিকার রাসেলসহ আরও অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোক প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, শৈশব থেকেই গানের মধ্যেই বেড়ে উঠেছেন বর্ণ। তাঁর বাবা ও মা দুজনেই সঙ্গীতের জগতের মানুষ। গান ছাড়াও নাটক, মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনের ভিডিও নির্মাণ করেছেন তিনি। এপ্রিল মাসেই মুক্তি পেয়েছিল তাঁর প্রথম একক অ্যালবাম বোকা পাখি। এই অ্যালবামের গানগুলি তাঁর নিজের লেখা ও সুর করা। সঙ্গীতায়োজনও তিনি নিজেই করেছিলেন। সঙ্গীতশিল্পী ফাহমিদা নবী ও জয় শাহরিয়ার এই অ্যালবামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
