তথাগত লিখছেন, "আমি অপরাজিত এখনো দেখিনি,শুধু এটুকু বলতে পারি অনীক দত্তই আমার দেখা একমাত্র মানুষ যার সত্যজিৎ রায় কে নিয়ে ভালবাসা কিম্বা শ্রদ্ধাটা ভড়ংবাজি নয় নিজের সিনেমার ফাটা দেওয়াল ভরাট করার। নিশ্চিত ভাবে এ সিনেমা অনীকদা বহূদিন ধরে লালন করেছেন,দেখেছেন,তৈরিও করেছেন নানাভাবে মাথার ভেতর,শুধু সিনেমাটার শুটিংটা এখন করে উঠতে পারলেন,এবং ফাইনালি রিলিজ। স্বাভাবিকভাবেই যে সিনেমাতে এত দীর্ঘ সময়ের ভালবাসার উপাদান মজুত তাতে একটা সততার ছাপ থাকবেই,সে সততার ছাপ ট্রেলার কিম্বা অনান্য স্থিরচিত্রে আমরাদেখেছি।"
advertisement
অভিনেতা আরও লিখেছেন, "অনীকদাকে কাজের ও ব্যক্তিগত সূত্রে চেনা পরিচয়ের সুবাদে জানি ওনার একটা ব্যক্তিগত সত্যজিৎময় জগতের কথা, যে জগতের দরজা খুলেই এই সিনেমার নির্মাণ, এ আমার বিশ্বাস। তাই অপরাজিত না দেখেও বলতে পারি এ সিনেমাতে এক ধরনের বিশ্বাস থাকবে যা অনীকদার ব্যক্তিগত কিন্তু তার সততা আপনাকে নিশ্চয়ই ছোঁবে। বেশি সিনেমা হল কম সিনেমা হলের সমীকরণ নিয়ে না ভেবে সিনেমাটা দেখে ফেলুন, যে কটি হল রয়েছে তা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হলে সব আক্ষেপ ধুয়ে মুছে যাবে। বাংলা সিনেমার পাশে না দাঁড়িয়ে ভাল সিনেমার পাশে দাঁড়ান, দেখুন,কথা বলুন,ভাল লাগলে বুক বাজিয়ে দশটা লোককে যেতে বলুন,খারাপ লাগলেও সোচ্চারে বলুন,অনীকদা আপনকে ব্লক করবেন না।"
আরও পড়ুন- অপরাজিতর মতো ছবি বানাতে সাহস লাগে! সত্যজিতের ভূমিকায় জিতু কেমন, কী বলছেন সায়নী
ছবিটির ফার্স্ট লুক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছিল। তথাগত বলছেন, "সৎ চেষ্টাকে সমর্থন করুন, তাহলে "অপরাজিত" নামের একটা অর্থ তৈরি হয়,আরো অনেক পরিচালকের অনেকগুলো সৎ অপরাজিতের নির্মাণ হয়। অনীকদা আপনি আরো বেশী করে বরুনবাবু হয়ে উঠুন,এটাই কাম্য।আর আমার পরিচিত,অপরিচিত যারা এ সিনেমার সাথে যুক্ত তাদের সবাই কে আমার এক বুক শুভেচ্ছা।"