অঞ্জনের কথায়, '' শহরে কিছু সংখ্যক হল বাংলা ছবির জন্য থাকলে সুবিধা হয়। যদি না হয়, তাহলে দর্শকদের উপর কিছুটা দায় বর্তায়। ওই কয়েকটা সপ্তাহ যে-ছবিটা ইচ্ছে করছে সেটা যদি একটু খুঁজেপেতে দেখা নেন। আবার বলি... যে ছবিটা ইচ্ছে করছে... বাংলা বলে নয়। যদি ইচ্ছে করে 'রিভলবার রহস্য' দেখতে, তাহলে ৬-টায় শো নেই বলে একটু কষ্ট করে ৩ টেয় দেখে নেওয়া... তাহলে হয়তো আমার ছবিটা ওই কয়েকটা দিনের জন্য বেরিয়ে গেল। ওই ঝগড়াঝাটি-মারামারি-মিছিল করায় আমি কোনওদিনই বিশ্বাসই নই। আর ওই টিপিকালভাবে 'বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ান, পাশে দাঁড়ান' স্লোগানেও নেই! কেন দাঁড়াতে হবে? আমরা সবাই এই বাজারে নেমেছি। আমার ছবি খুব কম বাজেটের। পাঠান অনেক বেশি বাজেটের। তাই এরকম হবেই। আমাদের তো এরকম কোনও ব্যবস্থা নেই, যে ৪-৫টা হল রয়েছে যেখানে শুধুই বাংলা ছবি চলবে। সেরকম হওয়া কি সম্ভব ? সেটা প্রশাসন বুঝবে।''
advertisement
অঞ্জন এও বলেন, '' এরমধ্যে কিছু ভাল ছবি হারিয়েও যায়। কারণ, এরকম তো হতে পারে না, একটা বড় বাজেটের ছবি মুক্তি পাচ্ছে বলে বাংলা ছবি মুক্তি পাবে না, ওয়েটিং লিস্টে থাকবে! তা হলে তো গুচ্ছগুচ্ছ বাংলা ছবি জমা হয়ে যাবে পাইপলাইনে। তখন তো নিজেদের মধ্যে মারামারি লেগে যাবে। পুজো আর শীত, এই দুটো সময় বাংলা ছবি একটু ব্যবসা করে। বাকি সময়টা... 'পাঠান' এসেছে, অত বড় একজন স্টার, সেই টাকা তো তুলতেই হবে। এটা মেনে নেওয়াই ভাল... যেমন দূষণ বেড়েছে, মানুষ বেড়েছে, রাস্তাঘাটে গর্ত বেড়েছে...''
প্রসঙ্গত, 'পাঠান' মুক্তির দিনকয়েক আগে মুক্তি পেয়েছিল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'কাবেরী অন্তর্ধান'। 'পাঠান' রিলিজের আগের দিন পরিচালক ফেসবুক লাইভে এসে দর্শকদের অনুরোধ জানান, '' যে শো-ই পাচ্ছেন আপনারা দেখুন। ১২টার শো হলে ১২টায় দেখুন। নয়তো পরের সপ্তাহে শুনব, টিকিট বিক্রি হয়নি বলে ছবি তুলে দেওয়া হল। খারাপ লাগে যখন এতো পরিশ্রম করে একটা ছবি বানানোর চেষ্টা করি, যখন দেখি সেই ছবি নিজের জায়গাতেই দেখাতে পারছি না, ভীষণ কষ্ট হয়।'