‘ওয়ার্ল্ড বি ডে’ (World Bee Day) তথা বিশ্ব মৌমাছি সংরক্ষণ দিবসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের (National Geographic Magazine) জন্য একটি ফটোশুট করেন তিনি। মৌমাছির গুরুত্ব বোঝাতেই এই বিশেষ দিনটিকে বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী। অ্যাঞ্জেলিনার এই ফোটশুটটি করেন চিত্রগ্রাহক ড্যান উইন্টারস (Dan Winter)। কিন্তু শরীরের মধ্যে এতগুলি মৌমাছি নিয়ে শ্যুট করা কী এতটাই সোজা ছিল? কীভাবে অভিনেত্রী এমন ভয়ঙ্কর কাজটি করে ফেললেন? কেমন করেই বা তিনি মৌমাছির কামড় থেকে রেহাই পেলেন? এবিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন চিত্রগ্রাহক ড্যান উইন্টারস।
advertisement
ড্যান নিজেও মৌমাছি সংগ্রহ করে থাকেন। এই চিত্রগ্রাহকের কথায়, "আমি মৌমাছি পালনকারী এবং যখন আমাকে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়, তখন আমার প্রধান উদ্বেগের বিষয়টি ছিল ওঁর নিরাপত্তা।” তবে এই শ্যুটটির জন্য তিনি ৪০ বছর পূর্বের চিত্রগ্রাহক রিচার্ড আভেডনের (Richard Avedon) বিখ্যাত ‘বি-কিপার পোট্রেট’-এর পন্থা অবলম্বন করেন বলে জানিয়েছেন।
ফটোশ্যুটটি কী ভাবে করা হয়েছিল তার বর্ণনায় ড্যান বলেন, মৌমাছির কামড় থেকে বাঁচতে অ্যাঞ্জেলিনা বাদে সেটে সবাই বিশেষ স্যুট পরেছিলেন। মৌমাছিকে শান্ত রাখতে পুরো ঘর অন্ধকার করে রাখা হয়। মৌমাছির জমায়েত রুখতে ব্যবহার করা হয়েছিল ফেরোমন নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ। এর ফলে যেমন ঝাঁক বাঁধতে পারেনি মৌমাছি, তেমনই হুলও ফোটাতে পারেনি। তবে এই ফটোশ্যুটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অভিনেত্রীরও। টানা ১৮ মিনিট না নড়ে, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। আর একের পর এক শট নিয়ে যান ড্যান। এদিনের এই বিশেষ ফটোশ্যুটের মূল বার্তাই ছিল মৌমাছি সংরক্ষণের।
এই শ্যুটের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অ্যাঞ্জেলিনা বলেছিলেন, “বিশ্ব জুড়ে আমরা সকলেই ভীষণ উদ্বিগ্ন, মৌমাছি সংরক্ষণ এমন একটি বিষয় যা আমরা পরিচালনা করতে পারি। আমরা সকলেই অবশ্যই সব পদক্ষেপ নিতে এবং এই সংরক্ষণের কাজে অংশীদার হতে পারি।” মৌমাছি তৈরির জন্য তিনি UNESCO এবং Guerlain-এর সঙ্গে কাজ করছেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে ২,৫০০টি মৌমাছি তৈরি করা হবে এবং ১২৫ মিলিয়ন মৌমাছি রিস্টক করা হবে।