অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে সমাজ সেবার কাজগুলি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে গিয়েছেন পায়েল। কখনও অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাদের সঙ্গে কাজ তো, আবার কখনও বা ক্যানসারের মতো মারণ রোগ জয় করে ফিরে এসেছেন, এমন মানুষদের নিয়ে নিয়মিত কাজ করে চলেছেন তিনি।
advertisement
অভিনেত্রী পায়েল মিঠাই সরকার
আর সেই কারণেই রাজধানীতে উওর প্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী সতীশ চন্দ্র দ্বিবেদীর হাত থেকে ‘শ্রেষ্ঠ সমাজসেবিকা’ হিসেবে ‘ভারতীয় যুব ইন্সপিরেশন’ সম্মান অর্জন করলেন পায়েল মিঠাই সরকার। গত ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন উপলক্ষে দিল্লি দূরদর্শন ভবনের এল. টি.জি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠানের। আর এটি আয়োজন করেছিল গভর্নমেন্ট অফ এনসিটি দিল্লি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে একমাত্র এবং প্রথম মহিলা হিসেবে এই সম্মান গ্রহণ করার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন পায়েল মিঠাই সরকার।
অভিনেত্রীর কথায়, “আপনাদের সকলকে আমি অনেক অনেক ধন্যবাদ আর ভালবাসা জানাতে চাই। এটা কোনও সাধারণ সম্মান নয়। অনেক দিন ধরেই আমি অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করে চলেছি। আমার একটা বৃদ্ধাবাসও রয়েছে। সেখানে ৯ জন বৃদ্ধা এবং ২ জন ক্যানসার জয়ী দেখভাল করা হয়। শুধু তা-ই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমাজসেবার কাজে সর্বদাই আমার অনুপ্রেরণা রূপে কাজ করেছেন। আর সব সময়ই তাঁর কাছ থেকে অঢেল ভালবাসা পেয়েছি।”
পায়েল মিঠাই সরকার (Photo Courtesy: Payel Mithai Sarkar Facebook/Page)
প্রসঙ্গত গত বছরই কলকাতার বুকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল স্টারলাইট অনন্য সম্মান অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ও বিনোদন জগতের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা। তবে ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছিলেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা তথা টেলি-অভিনেত্রী পায়েল মিঠাই সরকার। সকলকে এক সুতোয় গাঁথার অভিনব প্রয়াস হল – স্টারলাইট অনন্য সম্মান। আর অভিনেত্রীর সংস্থা ‘পায়েল সরকার অর্গানাইজেশন’ সেই ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিয়েছে। তুলে ধরা হয়েছে এমন সব অসামান্য প্রতিভাকে, যাঁদের কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অজানা থেকে যায়। লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা সেই সমস্ত প্রতিভাকে উৎসাহ দেওয়াই ছিল ‘স্টারলাইট অনন্য সম্মান’-এর মূল উদ্দেশ্য।
সেই সময় অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন যে, ‘স্টার লাইট অনন্য সম্মান’-এর এই সম্মানজ্ঞাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে তিনি যারপরনাই উচ্ছ্বসিত। আগামী দিনেও এই উদ্যোগ নিতে চান।