আসলে বিশ্বের নানা বিষয়ে জানার কৌতূহল রয়েছে অভিনেত্রীর মধ্যে। আর সেই কৌতূহলের বশে প্রায় দুই বছর ধরে সোশ্যাল সায়েন্স বিষয় নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। এমনকী, গবেষণার কাজে তিনি ঘুরেছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও। আসলে পায়েল বিশ্বাস করেন যে, যাঁরা সমাজসেবার কাজ করে, তাঁদের মধ্যে অর্ধেকই সেই কাজটাকে ভালবেসে করেন না। তবে সমাজসেবার কাজ কিন্তু এক ধরনের পড়াশোনাই বটে! আর সেই বিষয়টিতে আরও গভীর ভাবে জানতে হলে সোশ্যাল সায়েন্স বিষয়টিকে আয়ত্ত করতে হবে।
advertisement
সেই কারণে সোশ্যাল সায়েন্স নিয়েই গবেষণা করলেন অভিনেত্রী পায়েল মিঠাই সরকার। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট উপাধি গ্রহণ করলেন এবং ভারত সরকারের মিনিস্ট্রি অফ সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট ও দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব অফ ইন্ডিয়া থেকে গোল্ড মেডেলিস্ট হলেন বাংলার এই গুণী কন্যে।
এভাবেই পায়েল প্রমাণ করে দিলেন যে, মেয়েরা কোনও অংশে কম নয়। আর পড়াশোনায় জানার কোনও নির্দিষ্ট বয়সসীমা থাকে না। বরং কেউ যদি কোনও বিষয়তে মন থেকে ভালবাসেন এবং তাঁর উদ্দেশ্য যদি সৎ হয়, তাহলে তিনি অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারবেন। পায়েল আসলে বাংলার একজন গুণী মহিলা , যিনি আমাদের রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। পায়েলের বিশ্বাস, তাঁর এই ডক্টরেট উপাধি তাঁর আগামী জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকটাই সাহায্য করবে।
এর আগে অভিনেত্রীকে বহু সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য এগিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে। বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুকন্যা অস্মিকা দাসের চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পায়েল। শুধু তা-ই নয়, সরস্বতী পুজোর সময় দুঃস্থ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী, সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য বিশেষ সম্মানেও ভূষিত হয়েছেন অভিনেত্রী।
এখানেই শেষ নয়, খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে পায়েলের প্রযোজনা সংস্থা ‘পায়েল সরকার অর্গানাইজেশন প্রাইভেট লিমিটেড’-এর প্রযোজনায় ‘স্টারলাইট অনন্য সম্মান ২০২৫ সিজন ২’। যেটি আগামী ২১ জুন ২০২৫ তারিখে আয়োজিত হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজনৈতিক জগতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এবং বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তারকারাও।
