সুদীপা নিউজ18 বাংলাকে জানালেন, গতকাল রাত ২:৩০টের পর থেকে আর অ্যাটাক হয়নি। আজ চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। এমনিতে চিকিৎসক সুদীপাকে শুরুতে বলে দিয়েছিলেন, ধীরে ধীরে আত্মীয়দের জানিয়ে দিতে। কিন্তু আজ তাঁর অবস্থার উন্নতি দেখে নিজেই আশা দিয়েছেন, ভেন্টিলেশনে না রেখে পুরনো মেডিক্যাল পদ্ধতিতে দীপালি দেবীকে সুস্থ করার চেষ্টা করবেন। কিন্তু সুদীপার কথায়, ‘‘এখনও ভাল বলার মতো পরিস্থিতি নয়। কারণ আর একটা অ্যাটাক হলেই আবার আগের জায়গায় ফিরে যাবে।’’
advertisement
রবিবার দুপুর বিকেল নাগাদ নাতি আদিদেবের সঙ্গে বসে খেলছিলেন দীপালি দেবী। বাইরের ঘরে সুদীপা ও অগ্নিদেব টেলিভিশন দেখছিলেন। আদিদেবের জ্বর হয়েছে বলে তাকে সুস্থ থাকার পরামর্শ দিচ্ছিলেন। বকবকিও করছিলেন। সুদীপা তাঁর মায়ের শেষ কথা শুনতে পেয়েছেন, তিনি নাতিকে বলছেন, ‘‘কথা না শুনলে শরীর খারাপ হবে আরও। হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ইঞ্জেকশন দিয়ে দেবে কিন্তু।’’ তার পরই সব চুপ।
সুদীপা ঘরে গিয়ে দেখেন দীপালি দেবী শুয়ে আছেন, মুখ বেঁকে যাচ্ছে। ছেলে আদিদেব বলতে থাকে, ‘‘মা দেখো, দিদু কথা বলছে না, রাগ করেছে আমার উপর।’’ সুদীপার কথায় জানা যায়, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে একের পর এক অ্যাটাক হচ্ছিল তাঁর মায়ের। এখন একটু উন্নতি হলেও বাঁ দিকটা খানিক প্যারালাইজড। চিকিৎসক বলেছেন, সাত দিনের আগে বিশেষ কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: সন্তানের নামকরণের সময়ে এই বিষয়গুলি মাথায় রাখছেন তো? তবেই খুলবে সৌভাগ্যের দরজা, শুনুন জ্যোতিষীর কথা
সুদীপার কথায়, ‘‘আর যা-ই হোক, প্যারালাইজড অবস্থায় ফিরে না আসে মা। বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে থাকার যন্ত্রণা মা সহ্য করতে পারবে না। কিছু দিন পরেই বাড়িতে পুজোর আয়োজন। বিছানায় শুয়ে থাকবে, অথচ কিছু করতে পারবে না, মা এটা মেনে নিতে পারবে না। সেদিন সকালেও আমাদের ইলিশ মাছ রান্না করে খাইয়েছে মা। মায়ের তো নানা অসুখ, মৃগী থেকে শুরু করে হৃদরোগ, তাই চিকিৎসক বলেছেন মাকে রোজ একটা করে পদ রান্না করতে দিতে বা পুজো দেওয়াতে, যেটা ভাল লাগে। তাতে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে। রোজ একটি করে আমিষ পদ রান্না করে মা। রবিবারও করল, কিন্তু তার পরে…’’
ছোট্ট আদিদেব দিদুর কাছ যাবে বলে বায়না করছে বারবার। গতরাতে খাবারও খেতে পারেনি। তার দাদা, অগ্নিদেবের আগের পক্ষের সন্তান টিনটিন, ওরফে আকাশ চট্টোপাধ্যায় তাকে খাইয়ে দিচ্ছিলেন। খাবার খেয়ে বমি করে দেয় আদিদেব। সকলেরই একটা প্রার্থনা, দীপালি দেবী যেন বাড়ি ফিরে আসেন সুস্থ হয়ে, আগের মতোই হাঁটাচলা করতে পারেন।