বাবা বরুণ চন্দ টলিপাড়ার অতন্ত্য পরিচিত মুখ হলেও অভিনয় জগতের কখনও দেখা যায়নি অভীককে। তিনি পেশায় লেখক। প্রেসিডেন্সি কলেজ ও দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্সে পড়াশোনা শেষ করে একটি ইংরেজি সংবাদপত্রে কিছু দিন শিক্ষানবিশ সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। তারপর তিনি বেশ কিছুদিন দিন এক বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। পরের দিকে অভীক লেখালেখিতে মন দেন। কিছুদিন আগে তিনি একটি স্টার্টআপ সংস্থাও তৈরি করেন। পাশাপাশি অভীক ‘মোটিভেশনাল স্পিকার’ হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ফারহানের ছবিতে অনুষ্কার না! ‘জি লে জারা’য় প্রিয়াঙ্কার পরিবর্তে থাকছেন কে
তাঁর লেখা জনপ্রিয় বই গুলি হল ‘ফ্রম কমান্ড টু এমপ্যাথি: ইউজিং ইকিউ ইন দ্য এজ অফ ডিজ়রাপশন’, ‘দারা শুকো: দ্য ম্যান হু উড বি কিং’। পাশাপাশি তিনি বাংলা কবিতা সংকলনও লিখেছেন ‘যখন বিদেশে’। এটিও পাঠক মহলে বেশ সমাদৃত হয়েছিল। চলতি বছরে সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথ ভাবে লেখেন ‘ওয়ার্ক থ্রি পয়েন্ট ও’। এই বইটিও বেশ চর্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার পর ‘জি লে জারা’ থেকে মুখ ফেরালেন ক্যাটরিনা? ফারহানের ছবিতে তাঁর পরিবর্তে কে
ছেলের অকালপ্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন বরুণ। তিনি একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান যে, সাধারণত ছেলেরা পিতৃশ্রাদ্ধ করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, যে তাঁকে এখন পুত্রের শেষকৃত্য করতে হচ্ছে। অভিনেতা আরও জানান, কিছুদিন আগে অভীককে বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আগামী বছরেই সেখানে তাঁর ছেলের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আর হল না, সে সবের আগেই অভীককে চলে যেতে হল। সোমবার শেষবারের মতো ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল বরুণের। তখন অভীক বলেছিলেন ‘সময়টা বড্ড কম হয়ে গেল!’ এই কথা কথাটা কানে বাজছে অভিনেতার।