সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগে ব্রু রিয়াংদের শরণার্থী বলে আখ্যায়িত করা হত। কিন্তু তারা এখন আর শরণার্থী নয়। তারাও ত্রিপুরায় বসবাসকারী মানুষ। তাদের সঠিক পুনর্বাসনের জন্য যা যা করার দরকার সেটা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের ১২টি জায়গায় তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সুষ্ঠু পুনর্বাসনের জন্য এই এলাকার বিধায়ক থেকে শুরু করে প্রাক্তন মন্ত্রী সহ অনেকেই আমার সাথে দেখা করেছেন। আমিও দিল্লি গিয়ে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলি।’’
advertisement
ডাঃ সাহা এদিন বলেন, ‘‘সমস্যা থাকবে। আর সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যাবে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্বতন কমিউনিস্ট সরকার শুধু সমস্যা জিইয়ে রাখতো। যে কারণে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে ব্রু রিয়াংদের সমস্যা সমাধানের জন্য কোনও উদ্যোগ নেয় নি তারা। এতদিন ধরে তারা শুধু কুম্ভীরাশ্রু ফেলেছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন জনজাতিদের অবশ্যই উন্নয়ন করতে হবে। অন্যথায় দেশ উন্নত হবে না। সেই দিশায় কাজ করছেন তিনি। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে ব্রু রিয়াংদের দ্রুত পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মানুষ এখন খুব খুশি। কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রীও তাদের সমস্যা নিরসনে খুবই আন্তরিক।’’
আরও পড়ুন– রাশিফল ২৪ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘জনজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়ন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই করতে পারেন। কেন্দ্রে দীর্ঘ বছর কংগ্রেস কিংবা ইউপিএ সরকার থাকলেও কোনও সরকার জনজাতিদের উন্নয়নে নজর দেয়নি। এমনকী, জনজাতিদের উন্নয়নে আলাদা করে কিছু করে নি। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অটল বিহারী বাজপেয়ী থাকার সময়ে ট্রাইব্যাল মিনিস্ট্রি গঠন করা হয়। অটলজি ছিলেন একজন সর্বজনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতিও ছিলেন। তাঁর চিন্তাভাবনাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উন্নয়নের গ্যারান্টি দিচ্ছেন মোদি। সকল অংশের মানুষের সমস্যা সমাধানের গ্যারান্টি দিচ্ছেন তিনি। আর সেই গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যে গ্যারান্টিরও গ্যারান্টি দিচ্ছেন এবার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের নির্বাচন। দেশ শক্তিশালী হলেই তবে রাজ্যও শক্তিশালী হবে এবং উন্নতি হবে। তবেই মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে।’’