কারণ ত্রিশঙ্কু বিধানসভায় ফের গুরুত্ব বাড়বে জেডিএস-এর। ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে অনেক কম শক্তি থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। এবারও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজ্য রাজনীতির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে একসঙ্গে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিল! নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে এবারেও কি কুমারস্বামী তেমন কোনও পরিকল্পনা করে রেখেছেন? কারণ জেডিএস সূত্রে খবর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার ইচ্ছা কংগ্রেসকেই সমর্থন করা হোক। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের শর্ত, কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী সিদ্ধারামাইয়াকে সরিয়ে রেখে নাকি জোট সরকার গঠনের ব্যবস্থা হোক। শতাব্দী প্রাচীন দলের পক্ষে এই প্রস্তাব যথেষ্ট আপত্তিজনক। পাশাপাশি কুমারস্বামীদের আশঙ্কা, ফল অনুকূলে গেলে তাঁদের দলের বিধায়কদেরও ভাঙানোর চেষ্টা করবেন দুই জাতীয় দলের নেতারা।
advertisement
ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুতে নিজের অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক সেরে নিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। আবার ডি কে শিবকুমার আর কংগ্রেস নেতা সুরযেওয়ালাকে নিয়ে বেঙ্গালুরুতে নিজের বাড়িতে শলা-পরামর্শে ব্যস্ত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সবরকম ঝুঁকি এড়াতে সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেস যোগ দেওয়া জগদীনির্শ শেট্টিয়ারের অনুগামী কয়েকজন বিধানসভার প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে হাত শিবির।
বিজেপির নেতৃত্ব অবশ্য এখনও দাবি করছে তারা পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই থেকে ইয়েদুরাপ্পা সকলেরই বক্তব্য, ত্রিশঙ্কু বিধানসভার কোনও সম্ভাবনা নেই। তাঁরাই ফের ক্ষমতায় ফিরছেন। দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠকের পর এমনই প্রতিক্রিয়া প্রাক্তন ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর।