তৃণমূল সূত্রে খবর, ভোটের ফলাফল কাঁটাছেড়া করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, তৃণমূলের বহু পদাধিকারী নিজের বুথেই দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে পারেননি। জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়ালের ২০৮ ও ২০৯ নম্বর বুথে তৃণমূল পিছিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশোর বেশি ভোটে। গঙ্গারামপুর বিধানসভা এলাকায় ১৬৮০০ ভোটে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। প্রার্থী বিপ্লবের ভাই প্রশান্ত মিত্র গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান।
advertisement
তিনি ৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সেই ওয়ার্ডেই ১০৩ ভোটে হেরেছেন বিপ্লব। গঙ্গারামপুর পুরসভার উপ পুরপ্রধান জয়ন্ত দাস দলের মুখপাত্র। তাঁর ১৫ ওয়ার্ডেও তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। যদিও পুর এলাকায় সুকান্ত মজুমদারের বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর এগিয়ে থাকা নিয়ে বারবার বিজেপিকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।বিধানসভা ভিত্তিক ভোটের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, সংখ্যালঘু প্রধান বিধানসভা কেন্দ্র ইটাহার থেকে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজেপিকে পিছনে ফেলেছে তৃণমূল, যা গত লোকসভার তুলনায় বেশি। আর এক সংখ্যালঘু প্রধান বিধানসভা কুমারগঞ্জেও গত বারের তুলনায় পাঁচ হাজার ভোটের ব্যবধান বেড়েছে তৃণমূলের পক্ষে।
আরও পড়ুন: জমে উঠেছে দিল্লি, NDA-র সংসদীয় নেতা কে হবেন! মোদিকে মানবেন তো শরিকরা?
রাজবংশী প্রধান কুশমণ্ডি থেকে তৃণমূলের ‘লিড’ বেড়েছে চার হাজারেরও বেশি। মন্ত্রী বিপ্লবের নিজের বিধানসভা হরিরামপুর থেকেও তৃণমূলের ‘লিড’ গত লোকসভার প্রায় দ্বিগুণ। কিন্তু বাকি তিন বিধানসভা কেন্দ্র বালুরঘাট, তপন ও গঙ্গারামপুরের ‘লিডেই’ জিতেছেন সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল সূত্রে খবর, বালুরঘাট পুরসভার ২২টি ওয়ার্ড থেকেই প্রায় ২২ হাজার ভোটের লিড পেয়েছে বিজেপি। যা গত বারের থেকেও বেশি। ২০১৯ সালের ভোটে বালুরঘাট শহরে তৃণমূলের থেকে ১৭ হাজারের সামান্য বেশি ভোট পেয়েছিলেন সুকান্ত।