কিন্তু ওই রায় উদ্ধব গোষ্ঠীর পক্ষে বড় একটা স্বস্তিদায়ক হল না। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে,রাজ্যপাল কোশিয়ারি বিধানসভায় যে শক্তি পরীক্ষার আয়োজন করেছিলেন তার আগেই ইস্তফা দিয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে পুনর্বহাল করা যেতে পারে না। যার অর্থ আপাতত একনাথ শিণ্ডেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী গদিতে থাকছেন।
advertisement
একইসঙ্গে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, শিণ্ডে সহ ১৬ জন বিধায়কের সদস্য পদ খারিজের ব্যাপারে আদালতের আর কিছুই করার নেই। আদালতে ওই ব্যাপারে যে পিটিশন জমা পড়েছে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার। এই রায়ের পর অন্তত শিণ্ডে সরকারের আপাতত সংকট আর থাকছে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মহারাষ্ট্রে শিণ্ডে এবং উদ্ধব গোষ্ঠীর মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে সুপ্রিম কোর্টে চলা দীর্ঘমেয়াদি মামলায় বৃহস্পতিবার আদালত জানিয়েছে, বিধানসভায় উদ্ধব সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা খুইয়েছেন বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রাজ্যপাল, সেটি ভুল পদক্ষেপ ছিল। কারণ সে সময়ের প্রধান বিরোধী দলের নেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ বা অন্য কোন দলের তরফে অনাস্থা প্রস্তাব আনেনি। তারপরেও রাজ্যপালের এই পদক্ষেপ আইনসম্মত নয়।