লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ শুরু হয়েছিল বিজেপির ‘আব কি বার, ৪০০ পার’ স্লোগান দিয়ে। ইতিমধ্যে ৪ দফা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। ভোট দিয়ে দিয়েছেন প্রায় ৪০০ লোকসভা কেন্দ্রের মানুষ। চার দফাতেই দেখা গিয়েছে, ভোটদানের হার বেশ কম। বিরোধীরা বলছেন, মানুষের মধ্যে মোদিকে ভোট দেওয়ার যে উৎসাহ ২০১৪ বা ২০১৯-এ দেখা গিয়েছিল, তা এবার উধাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, বিজেপির নেতৃত্বে থাকা এনডিএ ১৯৫ আসনে আটকে যাবে। সত্যিই কি গত কয়েকদিনে এতটা বদলে গিয়েছে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি? কী বলছেন প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রশান্ত কিশোর?
advertisement
আরও পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যার ‘মৃত্যু’ নেই! নামটা জানেন? তাজ্জব হয়ে যাবেন নিশ্চিত!
সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, ”৪০০ পার করার সম্ভাবনা নেই বিজেপি তথা এনডিএ-র। এটা শুধুমাত্র বিজেপির একটা মনস্তাত্বিক খেলা ছিল। এই স্লোগান দেওয়ার সময়, তারা নিজেরাও জানত ৪০০ পার সম্ভব নয়। তবে, তার মানে এই নয় যে বিজেপি ২০০ আসনে নেমে যাবে। কারণ, উত্তর ও পশ্চিম ভারতে বিজেপির আসন সংখ্যা কমার বিশেষ কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই, বিজেপির আসন সংখ্যায় কোনও অর্থবহ পতন ঘটবে না। ২০১৯-এর মতোই এই লোকসভা নির্বাচনেও ৩০০ আসনের আশপাশে আসন পাবে বিজেপি। উত্তর ও পশ্চিমে বিজেপির ন্যূনতম ক্ষতির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্র প্রদেশে আগের থেকে বেশি আসন পেতে চলেছে বিজেপি।”
প্রশান্ত কিশোর বলেন, “লালু-নীতীশ গত ৩০ বছর ধরে বিহার শাসন করেছেন এবং তারা সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস ভাঙার কাজও করেছেন। ৩০ বছরে বিহারের মানুষের দারিদ্র্য কোনওটাই কমেনি, পথচলাও বন্ধ হয়নি। যদি শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতি না হয়, অন্যথায় কর্মসংস্থান পাওয়া না যায়, তাহলে আপনি কোন বিশ্বাসের কথা বলছেন? দুর্নীতি ও গুন্ডামির ঊর্ধ্বে উঠতে পারবে না এরা।”