নির্বাচন রেজাল্ট ২০২৪, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট
প্রসঙ্গত, পিকে প্রথম থেকেই বলে আসছেন, সামান্য আসনের এদিক ওদিক হলেও তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদিই। এক্সিট পোলের ফলাফল সামনে আসার পরে শনিবার রাতেই প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত বলেন, ‘পরেরবার যখন নির্বাচন এবং রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হবে, তখন ফাঁকা বসে থাকা জালি সাংবাদিক, বড়-বড় কথা বলা রাজনৈতিক নেতা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞদের উপর নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না।’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘নানা চক্রান্ত হতে পারে…’, সতর্কবাণীতে কীসের ইশারা? এক্সিট পোল নিয়ে দলকে ২০১৪ স্মরণ করালেন অভিষেক
প্রশান্ত কিশোর যখন বিজেপির বিপুল জয় নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তখন অধিকাংশ বিরোধী নেতাই তার বিরুদ্ধে বলেছেন। কেউ-কেউ সরাসরি পিকে-কে নিশানা করেছিলেন।
এবার ৪০০-র বেশি আসনে জয় আসবে বলে প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে বিজেপি। সেই সূত্রেই তারা বলতে শুরু করেছিল, আব কি বার, ৪০০ পার। কিন্তু, ভোটপর্বের শেষলগ্নে বিজেপির এই দাবি কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন নির্বাচনী কুশলী প্রশান্ত কিশোর। পিকে-র দাবি, ২০১৯-এর নির্বাচনের মতো বিজেপি ৩০০ আসনে জয় পেতে পারে অথবা তার থেকে সামান্য বেশি কিছু আসন পেতে পারে।
প্রশান্ত কিশোরের বক্তব্য ছিল, “আমার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিজেপি একই সংখ্যক আসনে অথবা গতবারের তুলনায় সামান্য বেশি আসনে জিততে পারে। পশ্চিম ও উত্তর ভারতে আমি কোনও তাৎপর্যপূর্ণ আসন বাড়ার সম্ভাবনা দেখছি না। পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারত থেকে বিজেপি আসন সংখ্যা বাড়াতে পারে।” পিকে জানিয়েছিলেন, তেলঙ্গনা, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল এবং তামিলনাড়ু থেকেও বিজেপি ভাল ফল করবে। প্রশান্ত কিশোর অঙ্ক কষে দাবি করেন, বিজেপিকে হারতে হলে উত্তর ও পশ্চিম ভারত থেকে তাদের জেতা আসনের প্রায় ৫০ থেকে ১০০টি আসন হারাতে হবে। এর জন্য কংগ্রেসের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টি, আরজেডি এবং এনসিপি-কে অনেক বেশি আসনে জিততে হবে। এই চার বিরোধী দল মিলে যদি একসঙ্গে ভাল ফল করে, তাহলেই বিজেপি উত্তর ও পশ্চিম ভারতে জমি হারাতে পারে। কিন্তু সেই আশা তিনি দেখছেন না বলেও জানিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এবার তাঁর মতামতের সঙ্গে যখন এক্সিট পোলগুলির সমীক্ষা মিলে যাচ্ছে, তখন ফের মুখ খুললেন পিকে।