তবে শুধু নরেন্দ্র মোদিই নয়, এদিন মমতার নিশানায় উঠে এসেছে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা৷ তুফানগঞ্জের সভামঞ্চ থেকে বিজেপি প্রার্থীর নাম না করে মমতা বলেন, ‘‘নীরব মোদি, ললিত মোদি, আপনার গদ্দাররা দুর্নীতিবাজ নয়? স্কুলের চাকরি অনেক দিয়েছে। ভয়ে অনেকে বলে না। আদালতকেও ম্যানেজ করছে অনেক সময়। দেখলেন না এক বিচারপতিকে প্রার্থী করেছে। আমাদের ছাত্র নেতা দেবাংশুকে প্রার্থী করেছি। ও ছুটিয়ে মারছে। আপনি আদালতে চাকরি খেয়েছেন। জনতার আদালতে আপনার চাকরি যাবে।’’
advertisement
এদিনের সভা থেকে মোদি সরকারের CAA নিয়েও সরব হন মমতা৷ আবারও জনসাধারণকে ‘সাবধান’ করে বলেন, ‘‘CAA বানিয়েছে আপনাদের বিদেশি বানাবে বলে। এতে নাম লেখালেই বিদেশি হয়ে যাবেন। অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। আসাম দেখেছেন তো? NRC করে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে। আর বলবে যান বাংলাদেশ থেকে শংসাপত্র নিয়ে আসুন। আমি থাকতে আমার প্রশাসন থাকতে CAA, NRC মানব না। আপনারা সবাই নাগরিক। আপনাদের ভোটে যারা দশ বছর প্রধানমন্ত্রী হয়ে বসে আছেন। তারা কি করে বলে CAA তে নাম লেখাতে।’’
জনসাধারণরে ‘সাবধান’ করে মমতার পরামর্শ, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার চালু। আমাদের দেওয়া তথ্য থেকে নম্বর নিয়ে, কলসেন্টার থেকে ফোন করাচ্ছে। কেউ নতুন করে আবেদন করবেন না। আমি বলছি আপনাদের সবার নাম আছে।’’
গত বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সভায় বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ উঠে এসেছিল সন্দেশখালির বিক্ষোভ প্রসঙ্গও৷ এদিন এই দুই অভিযোগেরই জবাব দেন মমতা৷ বলেন, ‘‘সন্দেশখালি আর দুর্নীতি নিয়ে লড়াইয়ের কথা বলেছেন। জেনে রাখুন সন্দেশখালি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম নয়। আমরা গ্রেফতার করেছি। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা অবিচার করিনি। কিন্তু হাথরস, বিলকিস, কী হয়েছে? তুমি কতবার গেছো, তোমার নেতারা কতবার গেছে?’’
মমতার কথায়, ‘‘মমতা বলেন, ‘‘আগে নিজেদের প্রার্থীর পিছনের স্ট্যাম্প দেখুন। তারপর আমাদের দুর্নীতিবাজ বলবেন। যদি ভোটে জেতায় এত আত্মবিশ্বাসী হন। তাহলে সবাইকে ভোট করতে দিন। কেন জাজদের কিনবেন। সংবাদমাধ্যমকে কাজ করতে দিন। গোটা বিশ্ব এই ভোট নজর রাখছে। গণতন্ত্রের গলা টিপবেন না। ’’
মমতা বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ করছি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। দুর্নীতি ইউপিতে কি হয়েছে। ক্ষমতা থাকলে রিপোর্ট প্রকাশ করুক। এলাকায় কেউ বদমাইশি করলে তাদের আমরা গ্রেফতার করি। শাহজাহান, আরাবুলকে গ্রেফতার করেছি। তোমাদের ওই প্রার্থী যে গুন্ডামি করে তাকে গ্রেফতার করো। বিজেপির গ্যারান্টি হল জিরো। এখানে যে ছিল তাকে আর দাঁড় করালে না। আবার একজন নতুনকে এনে দাঁড় করালে। বৈশাখে একজন, জৈষ্ঠ্যে একজন। (উত্তরবঙ্গে ঝড়ে বিধ্বস্ত বাড়ি) বাড়ির জন্য ৫ দিন আগে চিঠি লিখেছি। এখনও কেন উত্তর আসল না।’’