এদিন পাঠান দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি অনেক ম্যাচে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকছি আমার সঙ্গীদের সহযোগিতায়। আমার মনে পড়ে রঞ্জি ট্রফি খেলার সময় আমি মাত্র ১৫ রানে ছিলাম। আমার দলের সাতজন আউট হয়ে গিয়েছিল। দু’জন মাত্র বাকি ছিল। তাদেরকে বলেছিলাম শেষ পর্যন্ত তোমরা আমার সঙ্গে থাকো। আমিও সেঞ্চুরি করব, তোমাদেরকেও সেঞ্চুরি করার সুযোগ করে দেব। শেষ পর্যন্ত আমি সেঞ্চুরি করেছিলাম।
advertisement
আরও পড়ুন- গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!
এদিন হুমায়ুন কবীরও বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, ১৯-এর লোকসভা ভোটে কংগ্রেস প্রার্থী প্রায় ৩৮ হাজার ভোট পেয়েছিল। সেইবার তৃণমূলের প্রার্থী ছিল আপনাদের ঘরের ছেলে অপূর্ব সরকার। এইবার যেন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। যদিও আপনারা ২০২১-এ তৃণমূলের প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। আমরা নিশ্চিত এইবার পাঠানের হাত আপনারা শক্ত করবেন। এদিনের সভায় উচ্ছ্বসিত জনতাদের কাউকে ব্যাটে আবার কাউকে টি-শার্টে হাসিমুখে আটোগ্রাফ দিলেন ইউসুফ।
এদিন ইউসুফ পাঠান বলেন, অধীর চৌধুরী পাঁচবারের সাংসদ উনাকে সম্মান করি। আমার সঙ্গে উনার কোনও লড়াই নেই। কিন্তু মানুষ এখন উন্নয়নের জন্য বদল চায়। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় এখনও অনেক উন্নয়ন বাকি আছে। আমি সেইসব কাজ করতে চাই। এই জেলায় এখনও ক্রীড়া ক্ষেত্রে কোনও কাজ হয়নি। আমি এখানে স্পোর্টস অ্যাকাডেমি করতে চাই। মানুষের থেকে খুব ভাল সাড়া পাচ্ছি। জনতায় শেষ পর্যন্ত ঠিক করবে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ কে হবে। এদিন কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূল আমাকে হারাতে চায়। আর বিজেপি আসন সংখ্যা বাড়াতে চায়। দিদি ও মোদি পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আমাকে হারাতে চাইছে। একজন ক্রিকেটারকে সম্মান জানাতে হলে তাকে আগে রাজ্যসভায় সুযোগ দিতে হত। তারপরে না হয় লোকসভার প্রার্থী করা হত। লোকসভা পরাজিত হলেও জানত সে রাজ্যসভার সদস্য রয়েছে। কিন্তু এখানে শ্রীখন্ডি খাড়া করে কাকে জেতাতে চাইছে, কার সুবিধা করতে চাইছে, কার নির্দেশ মানতে চাইছে তৃণমূল তা এলাকার মানুষ ভালভাবেই জানে।