ভোট গণনার ফল বলছে, ইতিমধ্যেই ১৫০ আসনে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। ফলাফলের এই প্রবণতা বজায় থাকলে, গুজরাতের মাটিতে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে চলেছেন মোদি-শাহরা। বিজেপি-র ভোট প্রাপ্তির হারও ইতিমধ্যে ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত জুড়ছেন রাহুল, গুজরাতে খা খা করছে রাজীব গান্ধি ভবন! ভবিতব্য় জানতেন কংগ্রেস নেতারাও
advertisement
তথ্য বলছে, ১৯৮৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একাই ১৪৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল৷ গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে, এখনও পর্যন্ত কোনও দলই এর থেকে বেশি সংখ্যক আসন পায়নি৷ শুধু তাই নয়, কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা তিন বার গুজরাত নির্বাচনে ১৪০-এর বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে৷
১৯৭২ সালে গুজরাতে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৪০টি আসন৷ আবার ১৯৮০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ছিল ১৪১৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালেই শেষ বারের মতো গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন: দিনের শুরু থেকেই ত্রিশঙ্কুর ইঙ্গিত হিমাচলে, এবার কি তবে আরও বড় নাটকের অপেক্ষা?
আবার ১৯৯০ সালের নির্বাচনেই গুজরাতে নিজেদের সবথেকে খারাপ ফল করেছিল কংগ্রেস৷ ওই নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৩৷ ভোট প্রাপ্তির হার ছিল মাত্র ৩১ শতাংশ৷
২০০২ সাল বাদ দিলে ১৯৯০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রতিটি বিধানসভা নির্বাচনেই গুজরাতে কংগ্রেসের আসন সংখ্যাও বেড়েছে৷ ১৯৯৮ সাল থেকে রাজ্যে প্রতিটি নির্বাচনেই কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির হার ৩৫ শতাংশের উপরে থেকেছে৷ তিন দশকেরও বেশি সময় রাজ্যে ক্ষমতায় না থাকা সত্ত্বেও গুজরাতে এখনও কংগ্রেসই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃহত্তম দল৷ কিন্তু অতীতের যাবতীয় প্রাপ্তিকে পিছনে ফেলে এবার গুজরাতে নিজেদের সবথেকে খারাপ ফলের মুখোমুখি কংগ্রেস। শতাব্দী প্রাচীন দলের আসন সংখ্যা ২০-র নীচে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ভোট প্রাপ্তির হারও তিরিশ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে।
অন্যদিকে, ২০০২ সালে এখনও পর্যন্ত গুজরাতে সবথেকে বেশি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেবারে, বিজেপি-র প্রাপ্ত আসন সংখ্যা ছিল ১২৭। ২০১৭ সালে বিজেপি জয়ী হয়েছিল ৯৯টি আসনে। এবার গুজরাতের মাটিতে নতুন নজির তৈরির অপেক্ষায় পদ্ম ব্রিগেড।
