গুজরাতের বনসকাঁথা জেলার ভাদিয়া গ্রাম রেড লাইট এরিয়া হিসাবে পরিচিত। এখানকার বেশিরভাগ বাড়িতেই যৌন ব্যবসার রমরমা এখনও রয়েছে। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রামে বাস ৭০০ পরিবারের। তার মধ্যে অন্তত ৫০টি পরিবার প্রথাগত ভাবে যৌন ব্যবসা করে আসছে। আর সেই জন্যই ভোটের সময়ে এই গ্রামে পা রাখতে চাইছেন না কেউই।
advertisement
গ্রামবাসীদের কথায়, পাশের গ্রামের নির্বাচনী প্রচার চলছে। নেতা-কর্মীরা আসছেন। কিন্তু এই গ্রামে কেউ আসেন না। বছরের পর বছর ধরে এমনটাই চলে আসছে। দিনেশ সারানিয়া নামে এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, "আগের নির্বাচনেও আমরা অবহেলিত ছিলাম। আমরা আশেপাশের গ্রামে লাউডস্পিকার, ড্রাম ও স্লোগানের শব্দ শোনা যায়। কিন্তু প্রার্থীরা আমাদের গ্রামে আসেন না।" তিনি আরও বলেন, "আমাদের এখানে প্রত্যেকের বাড়ি তাঁদের নামে নথিভুক্ত হয়নি। ফলে সরকারি সুযোগ সুবিধাও তাঁরাও পান না।"
সারানিয়া জানান, "জনগণের জন্য সামান্যটুকু সুবিধা এই গ্রামে নেই। গ্রামে রাস্তা বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো কোনও মৌলিক পরিষেবা দেওয়া হয়নি। কোনও সরকারি প্রতিনিধি থেকে রাজনৈতিক দল এই সমস্যার সমাধান করে না।" গ্রামের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুলের পর্যাপ্ত ঘরও নেই। পড়ুয়ারা খোলা জায়গায় বসে লেখাপড়া করে।
আরও পড়ুন, হাড়হিম কাণ্ড! ৮ বছরের কিশোরকে টেনে নিয়ে গেল কুমির, পরের ঘটনা মারাত্মক
এই আসনে কংগ্রেস বিধায়ক গুলাব সিং রাজপুতের বিরুদ্ধে লড়ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর চৌধুরী। জোরদার প্রচার চালিয়েছে দুই দল। কিন্তু এই গ্রামে এখনও পর্যন্ত কোনও দল আসেনি। গ্রামবাসীদের ভোট দিতেও বহু দূরে আরেকটি গ্রামে যেতে হয়।
আরও পড়ুন, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় শিক্ষক নিয়োগে কী জানাল আদালত
নভেম্বরের ৩ তারিখ গুজরাত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছিল কমিশন। তখন তারা জানিয়েছিল প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পৌঁছে যাবেন নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা। কিন্তু বাস্তবে ভাদিয়া গ্রামের ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। জেলা কালেক্টর আনন্দ প্যাটেলের সঙ্গে অনেক চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ করা যায়নি।