অভিষেক বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে বাংলাকে কলুষিত করেছে। একটা দল এত নিকৃষ্ট মানের হতে পারে। গোধরা, পুলওয়ামা আমরা শুনেছি। সত্যপাল মালিক পুলওয়ামা নিয়ে বলেছেন। মোদি এদের নামে ভোট চেয়েছিল। আমরা শুনেছিলাম। আর সন্দেশখালি চোখে দেখলাম। বিজেপি মণ্ডল সভাপতি কথা বলছেন। এখনও তার বিরুদ্ধে বিজেপি ব্যবস্থা নেয়নি। একের পর এক মহিলা প্রকাশ্যে এসে বলছেন জোর করে অভিযোগ লেখানো হয়েছিল। এসটি কমিশন ও মহিলা কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে।’
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের সেরা ৫ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কোনগুলি? নাম জানেন? NIRF-এর তালিকা দেখুন
অভিষেকের আরও অভিযোগ, ‘রেখা পাত্র বলছেন ভুয়ো অভিযোগকারিণীর কথা। দলগত ভাবে এই ভিডিও ফুটেজ সুপ্রিম কোর্টে যেন ডিটিপি করে জমা দেওয়া হয়। রোবট নামিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের নাটক পর্রিকল্পিত। সন্দেশখালির বেলুন ফুটো হয়ে গিয়েছে। রেখা পাত্র যিনি বিজেপির প্রার্থী, যাঁর সঙ্গে প্রধাণমন্ত্রীর কথা বলছেন, সেই রেখা পাত্র বলছেন ভুয়ো নির্যাতিতাদের রাষ্ট্রপতির কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কে রেখা পাত্র? যিনি ২ হাজার টাকা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, এমনটা বলেছেন গঙ্গাধর কয়াল। প্রকৃত স্বরূপ এবার বেরিয়ে আসছে। মহিলারা বিজেপির স্বরুপ প্রকাশ করছে। প্রধানমন্ত্রী শ্বেতপত্র প্রকাশ করেননি। বরং সাদা কাগজে পরিকল্পনা করে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ করিয়েছে। একটা রাজনৈতিক দলের অঙ্গুলিহেলনে তদন্ত করেছে।’
এদিন মনোনয়ন জমা দিয়ে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের মানুষকে ভোটের আর্জি জানান অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘আজকে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মনোনয়ন জমা দিয়েছি। প্রবীণদের আশীর্বাদ নিয়ে ডায়মন্ড হারবার থেকে বিভিন্ন অঞ্চল, টাউন, ওয়ার্ড থেকে ভাইয়েরা এসেছে। সবার কাছে কৃতজ্ঞ। দক্ষিণ কলকাতা আমার জন্ম। ডায়মন্ড হারবার আমার কর্মক্ষেত্র। উন্নয়নের জয়যাত্রা অশ্বমেধের ঘোড়ার মতো দৌড়চ্ছে। মানুষ যেভাবে বিগত দিনগুলিতে সমর্থন রেখেছেন তার ব্যতিক্রম হবে না আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন সময়ের অপেক্ষা।’
অভিষেকের আত্মবিশ্বাস, ‘সভায় যেভাবে লোক আসছে তাতে আমি অত্যন্ত ইতিবাচক। আগামী চার তারিখ বাংলাকে কলুষিত করার যে বদনাম করেছে তার জবাব দেবে মানুষ। আজকে আমি মনোননয়ন জমা দেওয়ার পর ডায়মন্ড হারবারের মা বোনেদের কাছে, মানুষের কাছে হাত জোর করে আবেদন করব যেভাবে আপনাদের পাশে নিজের সাধ্যমতো থেকেছি, ডায়মন্ড হারবার আমার পরিবার। হাতজোড় করে আবেদন , ২০১৪ সালে যে আবেদন করেছিলাম ইয়াস, আমফান কোভিড-সহ বিভিন্ন সংকট বা উৎসবের সময়ে পাশে থেকেছি সাধ্যমতো। আমার কাজে আমি ত্রুটি রাখিনি। আমি জ্যোতিষ বা গণতকার নই। আমি আশা করছি জয়ের ব্যবধান বাড়বে। কেউ মানুষের জন্য কাজ করলে মানুষ তাঁকে সমর্থন করবেন।’
আবীর ঘোষাল