তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “বিষ্ণুপুরে সুজাতাকে জেতান। কেউ আপনাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না। এপ্রিল মাস থেকে যাঁরা ৫০০ টাকা পেতেন তাঁরা ডাবল পাচ্ছেন৷ বিজেপি বলছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেব৷ আর সাংসদ সৌমিত্র খাঁ খন্ডঘোষে সভা করতে গিয়ে বলছে ৩০০০ টাকা করে দেব। সৌমিত্র খাঁ যতদিন তৃণমূলে ছিল আপনাদের টাকা আটকাতে পারেনি৷ যেই বিজেপিতে গেল। জার্সি বদল করল। ওমনি আপনাদের টাকা বন্ধ করে দিল। সৌমিত্র খাঁয়ের উচিত কী কাজ করেছে তার জবাব দেওয়া।”
advertisement
অভিষেক আরও বলেন, “এই লোকসভায় দুই হাজার বুথ আছে। প্রধানমন্ত্রী এখানে সভা করতে আসেন। সেই মঞ্চে আমাকে ডাকা হোক। তোমাদের সরকার কী করেছে? আর আমাদের সরকার কী করেছে আশানুরূপ ফল না করেও তার হিসেব দেব। ইন্দাসে গত বছর বজ্রপাতে ৫০ জন আহত। এক জন মারা যান৷ আমি এসেছিলাম। প্রত্যেকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছিলাম। সোনামুখীতে বসবাসকারী এক সেনা জওয়ান মণিপুরে নিহত হয়েছিল। এই সৌমিত্র খাঁ গিয়ে জিজ্ঞাসা করেনি কেমন আছেন তাঁরা।
এরপরেই অভিষেকের বিস্ফোরক মন্তব্য, “যে নিজের সহধর্মিণীর হাত ছেড়ে দেয় সে কী করে নারীদের উন্নয়নের কথা বলবে। হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৯ সালে সৌমিত্র এখানে প্রচার করতে পারেনি৷ সুজাতা প্রচার করেছিল বিষ্ণুপুরে৷ আর খন্ডঘোষে প্রচার করেছিল সৌমিত্র৷ সেখানে ৩০ হাজার ভোটে হেরেছিল।” অভিষেক আরও যোগ করেন, “এই সৌমিত্র খাঁ, ২০২২ সালে বিজেপির দুই বিধায়ককে পাশে বসিয়ে বাঁকুড়া-সহ জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্যের দাবি তুলেছিল। প্রধানমন্ত্রী আসলে জিজ্ঞাসা করবেন, যারা বাংলা ভাঙতে চায় তাকে ফের টিকিট দিলেন?”
অভিষেকের তোপ, “১২ মাসে ১২ দিন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বিষ্ণুপুরে আসেন না৷ দিল্লিতে গিয়ে ফূর্তি করেন। তাই নিজের অধিকার রেখে ভোট দিন। বলছে প্রতি বুথে মদের খরচ ৫ হাজার টাকা। সাধারণ মানুষ খেতে পায় না৷ আর ৮০ হাজার বুথে ৪০ কোটি টাকার মদ ভোটের দিন৷ গরীব মানুষ জানে না ৪০ কোটিতে কটা শূন্য আছে। এত মদ কে খাবে রে বাবা?”
কেন্দ্রের বঞ্চনা ও উদাসীনতাকে নিশানা করে অভিষেক আরও বলেন, “বলেছিল গঙ্গাজলঘাঁটিতে স্টেডিয়াম করব৷ এক বালতি মাটি ফেলতে পারেনি।এত আর্থিক বোঝা থাকা সত্ত্বেও, আমাদের সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে। একবার ভাবুন যদি কেন্দ্র থেকে বকেয়া টাকা যদি পাওয়া যায় তাহলে কত রাস্তা, বাড়ি, আর আবাস পাবেন!”
