এতদিন ধরে বিভিন্ন কলেজগুলি নিজেদের মতো করে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করত। ফলে নানা ধরনের স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠে আসত। উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এই বিষয় নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত বৈঠক করেন। তারপর শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশেই এই আইনকে দ্রুত কার্যকর করার কথা বলা হয়। শেষমেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই আইন কার্যকরী হচ্ছে। তবে শুধু আইন কার্যকরী নয়, কলেজে কলেজে শিক্ষাকর্মী নিয়োগ ও দ্রুত শুরু করবে কলেজ সার্ভিস কমিশন। তার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে কমিশনকে বলে সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত CBI-CID-কলকাতা পুলিশের শতাধিক কর্তা, দুশ্চিন্তার ভাঁজ প্রশাসনের কপালে
মূলত এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ মারফত আবেদনপত্র নিতে বলা হলেও কলেজ সার্ভিস কমিশন নিজেদের মতো করে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেবেন বলেও আইনে বলা হয়েছে। ক্যাটেগরই ভিত্তিক, জোন ভিত্তিক শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করতে হবে কমিশনকে। কীভাবে নিয়োগ করতে হবে কমিশনকে তার বিস্তারিত বলা হয়েছে আইনে। নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনের চেয়ারম্যান একটি এক্সপার্টদের নিয়ে প্যানেল তৈরি করবেন। এক্সপার্টদের নিয়ে তৈরি করা প্যানেল নিয়োগের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। মূলত অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের নিয়োগের ধাঁচেই শিক্ষাকর্মীদের নিয়োগ করতে হবে এমনটাই জানানো হয়েছে আইনে।
আরও পড়ুন: সার্ভিসেস সিলেকশন বোর্ডের অধীনে বিভিন্ন পদে নিয়োগ! আজই আবেদন করুন...
কমিশন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই সহকারী অধ্যাপক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু করছে কমিশন। সে ক্ষেত্রে এই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হলেও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা থাকবে না বলেই মত কমিশনের আধিকারিকদের। যদিও ৯ জানুয়ারি অর্থাৎ রবিবার কলেজ সার্ভিস কমিশন সেট পরীক্ষা নিতে চলেছে। কমিশনের কাছে দায়িত্ব পারলেও শিক্ষা কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই দাবি কমিশন আধিকারিকদের। যদিও ১০ বছর আগে আইন তৈরি হয়ে গেলেও এতদিন বাদে কেন কার্যকরী করা হচ্ছে তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলছে শিক্ষা মহলের একাংশ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়