তিনি বলেন, “আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আমরা মনে করি কোনও বড় সমস্যা নেই। ব্যবসা বাণিজ্য ঠিকভাবেই চলছে।” শক্তিকান্ত দাস আরও জানান, “জীবনচক্র সমাপ্ত করে ফেলেছে এই ২০০০ টাকার নোট। ফলে এই নোট প্রত্যাহার করে নেওয়ার সময় হয়েছে। বড় নোট এখানে ওখানে ঘুরতে থাকলে অন্য সমস্যা তৈরি হতে পারে।” গত শুক্রবার ২০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সাধারণ মানুষকে এই নোট বদল করার জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: একই স্কুল, একই নম্বর! উচ্চ মাধ্যমিকে দশম জলপাইগুড়ির দুই মেয়ে
সে প্রসঙ্গে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর দাবি, ব্যাঙ্কগুলি জানিয়েছে, ‘‘২০০০ টাকার নোট বদল করতে কোনও প্রমাণ, পরিচয়পত্র লাগবে না। কালো টাকা ধ্বংস করতে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার বলে বিজেপির দাবি নস্যাৎ। সাধারণ মানুষের কাছে ২০০০ টাকার নোট নেই। নোট বাতিলের পর থেকেই ২০০০ টাকার নোট এড়িয়ে চলেন সাধারণ মানুষ। নিত্যদিনের কেনাকাটার কাজে লাগে না এই নোট। কারা ২০০০ নোট ব্যবহার করেন?” তাঁর বক্তব্য, তিনি লিখেছেন, ” ২০০০ টাকার নোটের মালিকদের লাল কার্পেট পেতে নোট বদল করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ”
আরও পড়ুন: সবজির খেতে দাঁড়িয়ে স্বপ্ন শিবমের, খিদে চেপে মাধ্যমিকের খাতায় বাজিমাত! এ ছেলের দৌড় বহুদূর
চিদম্বরমের মতে, ২০১৬ সালে ২০০০ নোট চালু করা বোকামি ছিল। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী লেখেন, “আমি আনন্দিত যে, অন্তত ৭ বছর পর এই বোকামির কাজ প্রত্যাহার হয়েছে।” গতকাল শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, অযথা আতঙ্কিত হয়ে ২০০০ টাকার নোট বদলানোর জন্য ব্যাঙ্কে গিয়ে ভিড় করার প্রয়োজন নেই৷ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষকর্তা আরও জানিয়েছেন, এ ভাবে বাজার থেকে নির্দিষ্ট একটি সিরিজ বা মূ্ল্যের পুরনো নোট প্রত্যাহার করে নেওয়া নতুন কিছু নয়৷ ফলে অযথা এ নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ার কিছুই নেই৷
রাজীব চক্রবর্তী