রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট ৬২৪টি বিএড কলেজ রয়েছে । যার মধ্যে ২৫৩টি বিএড কলেজের অনুমোদন বাতিল হওয়ায় ৩৭১ টি বিএড কলেজে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের ভর্তি প্রক্রিয়া হয়েছে। বিএড বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, রাজ্যে এই মুহূর্তে ২০ টি সরকারি বিএড কলেজ রয়েছে। যার আসন সংখ্যা মোট ১৩০০ টি। সেখানে সব আসনই পূরণ হয়েছে বলেই জানা গেছে।
advertisement
এবছর মোট ৩৪৪ টি বেসরকারি বিএড কলেজে ছাত্র ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে আসন সংখ্যা ছিল ৩১ হাজার ২৫০ টি। যার মধ্যে আসন পূরণ হয়েছে ২৮ হাজার ২৭৯ টি। মাইনোরিটি বেসরকারি বিএড কলেজ রয়েছে ৬ টি। যার আসন সংখ্যা ৬০০ হলেও পূরণ হয়েছে ৪৫৮ টি আসন। অর্থাৎ এক্ষেত্রে যে বেসরকারি বিএড কলেজ গুলি রয়েছে তার মধ্য থেকে প্রায় তিন হাজার আসন খালি রয়েছে। মোট হিসাব করলে দেখা যাচ্ছে ৩১১৩ টি আসন খালি রয়েছে এই ৩৭১ টি বিএড কলেজেও। ৬২৪টি বিএড কলেজের হিসাব ধরলে রাজ্যে এই মুহূর্তে বিএড পড়ার আসন ৫৩ হাজারেরও বেশি। আর তাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এত সংখ্যক আসন ফাঁকা থেকে গেল কী করে?
একাংশের অবশ্য প্রশ্ন, তাহলে কি এবার নিয়োগ দুর্নীতির প্রভাব পড়ছে এবার বিএড পড়ার ক্ষেত্রেও? বর্তমানে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে গত আট বছরেরও বেশি সময় সীমা ধরে। এছাড়া নবম – দশম বা একাদশ – দ্বাদশ স্তরে এখনো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি গত কয়েক বছরে। তাই দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া না শুরু হওয়ার জন্যই কি বিএড পড়া থেকে মুখ ফেরাচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা? এই প্রশ্নই এখন উঠতে শুরু করেছে। যদিও গতবছর বি এড পড়ার সংখ্যা অনেকটাই ছিল বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বিএড এর। সবমিলিয়ে শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার প্রভাব রাজ্যের একাধিক বিএড কলেজে পড়ছে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন।