একইসঙ্গে ভারতের থেকে আরও মানবিক সাহায্য চেয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির হাতে সেই চিঠি তুলে দিয়েছেন। একইভাবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মানবিক সহায়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন। ২০২২-এর ফেব্রুয়ারি থেকে মোট ২০ হাজার ভারতীয় পড়ুয়াকে ফেরানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে CBSE দশম শ্রেণির ফলাফল, কোথায় ও কীভাবে ফলাফল দেখবেন জানুন
advertisement
ইউক্রেন থেকে ফেরা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে আলোচনা অব্যাহত। মাঝপথে ফিরে আসা পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। ফলে তাঁদের কী হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। গত অগাস্টে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সুপারিশ করে, ইউক্রেন এবং চিন থেকে ফেরা ভারতীয় পড়ুয়ারা যাতে এদেশেই কোর্স শেষ করতে পারেন সে ব্যাপারে পদক্ষেপ করুক বিদেশ মন্ত্রক। সংসদীয় কমিটির তরফে বলা হয়েছে, বিদেশ মন্ত্রক যেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে কোর্সের মাঝপথে দেশে ফিরে আসা পড়ুয়াদের এদেশে ইন্টার্নশিপ অথবা তাদের কোর্স শেষ করার ব্যবস্থা করে।
তবে এ ব্যাপারে আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যকে চিঠি দিয়েছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ।
আরও পড়ুন: দশম-দ্বাদশের পর কোন কেরিয়ার বেছে নেবেন? কী ভাবে বাছাই করবেন? রইল বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
তবে চিঠির জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়েছেন এই ব্যবস্থা করা সরকারের পক্ষে অসম্ভব। ২০২০ সালে করোনার জন্য চিন থেকে কোর্সের মাঝপথে দেশে ফিরে আসা পড়ুয়াদের নিয়ে ভাবনা চিন্তা করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সংসদীয় কমিটির তরফে বলা হয়েছে করোনা অতিমারি এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অথৈ জলে পড়ে গিয়েছেন পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা রাজ্যের পড়ুয়াদের রাজ্যেরই মেডিকেল কলেজগুলিতে কোর্স শেষ করা বা ইন্টার্নশিপ শেষ করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজীব চক্রবর্তী