করোনা বিপর্যয় কাটিয়ে বর্তমানে সংস্থার আর্থিক হাল কিছুটা হলেও ভাল। এই অবস্থায় চলতি বছর ও আগামী বছরে সংস্থার শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় ৪০ হাজার কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে টিসিএসের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেশ গোপীনাথন বলেছেন, “আমরা চলতি ২০২২ সালের জন্য লক্ষ্য মাত্রা রেখে কর্মী নিয়োগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সংস্থার রেভেনিউ অনেকটাই বৃদ্ধি করেছি।" যা সর্বকালের রেকর্ড বলে জানান তিনি।
advertisement
এই দুই নিয়োগের ফলে সংস্থার ভবিষ্যৎ যে শক্তিশালী হবে এবং নিশ্চিত সাফল্যে পৌঁছাবে সে বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি জানান, ২০২২ সালের মার্চে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে ৫০ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা মূলধনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যা বছরে ১৫.৮ শতাংশ বেশি লভ্যাংশ দিতে পারে। এমনকী আর্থিক বছরে প্রায় ১৯২ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে কোম্পানির শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে।
জানা গিয়েছে, টিসিএসের বর্তমান কর্মচারীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৯২ হাজার ১২৫ জন। করোনাকালে কোম্পানির আর্থিক বিপর্যয় সত্ত্বেও ২০২১ সালের পাশাপাশি চলতি আর্থিক বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের প্রথমেই প্রচুর কর্মী নিয়োগ করে টিসিএস। নতুন অর্থবর্ষে ফের কর্মী নিয়োগ হবে{ সেক্ষেত্রে বিশদে জানতে https://www.tcs.com/careers/entry-level এই লিঙ্কে ক্লিক করে জেনে নিন।
তবে কোম্পানির আর্থিক শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে যতই বেশি সংখ্যক কর্মী ও পুঁজি বিনিয়োগ করা হোক না কেন, তা যে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে তা বলাই বাহুল্য।
কারণ টিসিএসের কর্মী এবং বাড়তি পুঁজি বিনিয়োগের বিষয়ে সম্প্রতি কোটাক ইনস্টিটিউশনাল ইক্যুইটিজ সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যে কোনও শিল্পে রেকর্ড সংখ্যক নবীনদের যোগ করা সত্ত্বেও প্রতিভার ঘাটতি অব্যাহত থাকতে পারে। এই বিশাল নিয়োগের পরিকল্পনার কারণে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় ওই কোম্পানিগুলির ক্ষয় হতে শুরু করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।