নবম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ার পর ১৯৯৯ সালে বিয়ে হয়ে যায় দুলু মাহান্তির। বিয়ের পর তাঁর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৩ বছর পর সমাজের পরোয়া না করে তিনি আবার পড়াশোনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৯ সালে তিনি মুক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বলরামপুর মালতি শ্যামনগর জিলপা লায়া বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। ২০২২ সালে তিনি বলরামপুরের সিধু কানু কলেজে ভর্তি হন। তার এই যাত্রা পথে সব থেকে বেশি পাশে থেকেছেন তাঁর শাশুড়ি পুতুলরানি পতি। পরিবারের সকলের সহযোগিতায় তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। মেয়ে ইন্দ্রানী পতির বিয়ে হয়েছে। তিনি বর্তমানে বড়বাজারে থাকেন। চন্ডীতলা শিক্ষা নিকেতন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বরাবাজার বিক্রম টুডু কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছেন। মা ও মেয়ের এই স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের যাত্রা শেষ হয় একই সময়ে।
advertisement
এ’বিষয়ে দুলু মহান্তি জানান, অনেকেই তাঁকে উৎসাহ দিয়েছে, আবার অনেকেই সমালোচনা করেছেন। সে সব কোনও কথাতেই তোয়াক্কা না করে তিনি নিজের কাজ করে গিয়েছেন। আগামী দিনে মাস্টার্স করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। মেয়ে ইন্দ্রাণী পতি বলেন , তাঁর ভীষণই ভাল লাগছে মায়ের এই সাফল্যে। একেবারে বন্ধুর মতো করে তাঁরা একে অপরের সহযোগিতা করেছেন। অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু কোনওভাবেই তাঁর মা লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি। আগামী দিনে মায়ের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা লাভের আশা রাখছেন তিনি। দুলু মাহান্তির শাশুড়ি পুতুল রানি পতি বলেন, বৌমাকে নিয়ে তিনি খুবই গর্বিত। এই সাফল্যে তিনি খুবই খুশি।