আজকের জন্য সব পঠন-পাঠন স্থগিত করল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আজ কোন শিক্ষামূলক কাজ হবে না ক্যাম্পাসে। নোটিস জারি করে জানিয়ে দিল বিশ্ববিদ্যালয়। অন্যদিকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরও আজকের সব পরীক্ষা স্থগিত করে দেওয়া হল। একাধিক বেসরকারি স্কুলের পরীক্ষাও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবার। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের তরফে অভিভাবকদের নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজন ছাড়া স্কুলে পড়ুয়াদের না পাঠানোর জন্য। আজকের স্কুলে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয় সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালেও কেউ বোঝেনি এমন বিভীষিকাময় হতে চলেছে রাত। কলকাতা এবং আশেপাশের শহর-শহরতলিতে নাগাড়ে বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। রেলের বিকল্প যে বাসকে ভাববেন তারও উপায় নেই। বেসরকারি বাস অধিকাংশ জায়গায় বার করেনি। সরকারি বাস বিভিন্ন ডিপো থেকে খুব কম সংখ্যক ছাড়ছে। সকাল থেকে ৫০ এর কাছাকাছি সরকারি বাস বেরিয়েছে। শিয়ালদহ স্টেশনের কাছে রেললাইনে জল জমে যাওয়ায় সকাল থেকে ব্যাহত ট্রেন চলাচল। বন্ধ রয়েছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন পরিষেবা। হাওড়া ডিভিশনের যাত্রীদেরও একই দুর্ভোগ। চক্ররেলের আপ এবং ডাউন লাইনের পরিষেবা আপাতত বন্ধ। অটো বা ট্যাক্সি প্রায় জলের তলায়।
advertisement
হাওড়া ইয়ার্ড, শিয়ালদহ সাউথ ইয়ার্ড জলমগ্ন। পাম্প করে সেই জল বের করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার সকালে শিয়ালদহ থেকে বেশ কিছু দূর পাল্লার ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে আপ হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেস এবং শিয়ালদহ-জঙ্গিপুর এক্সপ্রেস। নিত্যযাত্রী এবং দূরপাল্লার যাত্রী সবাই যেন অকুল জলে ভেসেছেন। বনঁগা এবং হাসনাবাদ লাইনের পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। শিয়ালদহগামী বেশ কিছু ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত যাতায়াত করে। ট্রেনগুলি দমদম স্টেশন পৌছানোর আগেই আটকে গিয়েছে। কখন পরিষেবা ঠিক হবে কেউ জানে না। উত্তর কলকাতা ও দক্ষিণ কলকাতার বেশির ভাগ রাস্তা জলমগ্ন। অটো বা ট্যাক্সি প্রায় ডুবে রয়েছে।
তারকেশ্বর এবং বর্ধমান মেন লাইনের ট্রেন পরিষেবা অনিয়মিত। সব লাইনেই ট্রেন দেরিতে চলছে। সেই কারণে ট্রেনগুলিতে যাত্রীদের ভিড়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্ল্যাক ডায়মন্ড,গণদেবতা, রাঁচি শতাব্দী ছাড়েনি এখনও ছাড়েনি। একাধিক লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে। হাওড়ায় বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে ৯টি পয়েন্ট।